বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী যাবার একটি রূপরেখা প্রকাশ করেছে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)। এক্ষেত্রে সংস্থাটি ১৩টি ধাপ অনুসরণ করতে বলেছে মালয়েশিয়া গমনেচ্ছুদের।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) বিএমইটির প্রকাশিত রূপরেখায় বলা হয়েছে,
প্রথম ধাপে মালয়েশিয়া গমনেচ্ছুদের ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপের মাধ্যমে বিএমইটি ডেটাবেজে রিক্রুটিং এজেন্সির নিবন্ধিত হতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত নিয়োগের অনুমতিপত্র ডাটাবেজে আপলোড করা হবে। তৃতীয় ধাপে বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সি অনলাইনে বিএমইটির কাছে চাকরি প্রার্থীদের তালিকা চাইবে।
চতুর্থ ধাপে বিএমইটি ডাটাবেজ থেকে ১:৩ অনুপাতে চাকরি প্রার্থীদের তালিকা পাঠাবে।
পঞ্চম ধাপে সাত দিনের মধ্যে বিএমইটির পাঠানো তালিকা থেকে রিক্রুটিং এজেন্সি চাকরিপ্রার্থী নির্বাচন করবে।
ষষ্ঠ ধাপে প্রয়োজন হলে বিএমইটির কাছে পুনরায় তালিকার অনুরোধ করতে পারবে রিক্রুটিং এজেন্সি।
সপ্তম ধাপে রিক্রুটিং এজেন্সি চাকরি প্রার্থীদের জন্য কলিং ভিসা ও প্রাক-বহির্গমন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে। অষ্টম ধাপে বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সি ভিসা স্ট্যাম্পিং করবে, নবম ধাপে অভিবাসন প্রত্যাশী কর্মী জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসে (ডেমো) বায়োমেট্রিক ফিঙ্গার দিতে হবে।
দশম ধাপে বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সি ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপের মাধ্যমে বিএমইটি ক্লিয়ারেন্সের জন্য সরকারি ফি ও চার্জসহ আবেদন করবে। তারপরের ধাপে বিএমইটি অনলাইনে ক্লিয়ারেন্স দেবে।
ত্রয়োদশ ধাপে অনলাইন থেকে ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট বা স্মার্টকার্ড ডাউনলোড করে নিতে হবে। পরবর্তী বা শেষ ধাপে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করতে পারবেন কর্মীরা।