ব্যাংকারদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার একদিন পরই শর্ত শিথিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিশেষ প্রয়োজন, হজ-উমরা, চিকিৎসা ইত্যাদি ক্ষেত্রে নিজস্ব অর্থায়নে ব্যাংক কর্মকর্তারা বিদেশ যেতে পারবেন। সোমবার (২৩ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
এতে বলা হয়, ‘২২ মে ২০২২ সার্কুলার লেটারের মাধ্যমে বহিঃবাংলাদেশ ভ্রমণে কিছু ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপকালে ব্যক্তিগত বহিঃবাংলাদেশ ভ্রমণের ওপরও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। বিশেষ প্রয়োজনে ব্যক্তিগত বহিঃবাংলাদেশ ভ্রমণ অত্যাবশ্যক হয় বিধায় নিজস্ব অর্থায়নে ব্যক্তিগত বহিঃবাংলাদেশ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের নতুন সার্কুলারে বলা হয়, ২০২২ সালের পবিত্র হজ পালন এবং জরুরি চিকিৎসার জন্য বিদেশ গমন; ব্যাংকে কর্মরত বিদেশি নাগরিকের নিজ দেশে গমন ও বিদেশি ব্যাংকের বাংলাদেশ শাখায় কর্মরত কর্মকর্তারা প্রধান কার্যালয়ে যেতে পারবেন। এছাড়া বিদেশি আয়োজক সংস্থার অর্থায়নে পরিচালিত প্রশিক্ষণ, সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও স্টাডি ট্যুরে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
এর আগে রোববার ব্যাংকারদের অনির্দিষ্টকালের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওই নির্দেশনায় বলা হয় ব্যাংকের কর্মীদের বিদেশ ভ্রমণ, প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও কর্মশালায় অংশগ্রহণ পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত বিদেশ ভ্রমণসহ প্রশিক্ষণ, সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও স্টাডি ট্যুরে অংশগ্রহণের জন্য বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ থাকবে।
মূলত রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে ও ডলার সংকট নিরসন করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গতকাল এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়াও ডলারের যাতে সংকট সৃষ্টি না হয় তাই বিলাসপণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল।
দেশের বাজারে বেশ কিছুদিন ধরে মার্কিন ডলারের দামে অস্থিরতা বিরাজ করছে। গত সপ্তাহে কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে ডলারের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। সর্বশেষ বাংলাদেশ ব্যাংক (১৬ মে) ডলারের দর বেঁধে দেয় ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু তাদের বেঁধে দেওয়া এ রেট বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও মানছে না। এখনও ব্যাংকে এলসি করতে গেলে ডলারের বিপরীতে নেওয়া হচ্ছে ৯২ থেকে ৯৩ টাকা। আবার কোনো কোনো ব্যাংক ৯৫/৯৬ টাকাও নিচ্ছে বলে জানা গেছে।