<< পুতিনকে গুপ্তহত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল, দাবি ইউক্রেনের

ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর কয়েকদিনের মধ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে গুপ্তহত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে সেটি পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।

পূর্ব ইউরোপের ককেশাস অঞ্চল থেকে আসা একটি দল এই পদক্ষেপ নিয়েছিল। তবে তাদের পরিকল্পনা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।

ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান কিরিলো বুদানভ যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন এসব তথ্য। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, প্রায় দু’মাস আগে ককেশাস থেকে আসা একটি দল পুতিনকে গুপ্তহত্যার চেষ্টা করেছিল। যদিও এটা ছিল পুরোপুরি ব্যর্থ একটি চেষ্টা, কিন্তু এমনটা যে সত্যিই ঘটেছিল, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

বুদানভের দাবি যদি সত্যি হয়, সেক্ষেত্রে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো জীবনের ঝুঁকিতে পড়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। বুদানভ অবশ্য এ হামলার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধের সরাসরি সম্পৃক্ততার কোনো ইঙ্গিত দেননি; এছাড়া ককেশাস অঞ্চলে পুতিনের বেশ কয়েকজন পুরনো শত্রুও রয়েছে, যারা ওই অঞ্চলে রীতিমতো প্রতিষ্ঠিত।

পূর্ব ইউরোপের দেশ আর্মেনিয়া, আজেরবাইজান, জর্জিয়া ও রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের কিছু অংশের সম্মিলিত ভূখণ্ডকে বলা হয় ককেশাস অঞ্চল।

২০০৪ সালে জর্জিয়ায় সেনা অভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন পুতিন; কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই যুদ্ধ শেষ হয়েও হয়নি। আন্তর্জাতিক ইসলামি জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) জর্জিয়া শাখার সঙ্গে এখনও দেশটির বিভিন্ন স্থানে সংঘাত চলছে রাশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর।

২০২০ সালে ককেশাসের নাগোরনো-কারাবাখ এলাকার দখল নিয়ে যুদ্ধ বাঁধে প্রতিবেশী দুই দেশ আর্মেনিয়া ও আজেরবাইযানের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধে। সেই যুদ্ধের ককেশাস অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও নড়বড়ে হয়ে পড়ে।

গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে, পুতিন যখন রুশ সেনাদের ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন, তার কয়েকদিন আগে থেকেই আর্মেনিয়া ও আজেরবাইজানের সীমান্ত অঞ্চলে সংঘাত শুরু হয়, যা এখনও চলছে।

তবে পুতিনের ওপর হামলার উদ্যোগ বা তাকে হত্যার চেষ্টা এই প্রথম নয়। ২০১৭ সালে মার্কিন চলচ্চিত্রকার অলিভার স্টোন পুতিনকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছিলেন। সে সময় এই চলচ্চিত্রকারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেছিলেন, এ পর্যন্ত অন্তত ৫ বার তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।

কিন্তু সেসব উদ্যোগের একটিও সফল হয়নি এবং পুতিন মনে করেন, তার নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের দক্ষতা ও বিশ্বস্ততাই বার বার ব্যর্থ করেছে হামলাকারীদের।

‘আমি আমার কাজ করি এবং আমার নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাদের কাজ করে এবং তারা তাদের দায়িত্ব সম্পাদনে অত্যন্ত দক্ষ ও সফল,’ সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন পুতিন।