টিকার আওতায় আসা সাপেক্ষে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে স্নাতক শেষ বর্ষ ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক হল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি। মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে উপাচার্যের বাসভবনে প্রভোস্ট কমিটির নিয়মিত স্ট্যান্ডিং সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিষয়টি সুপারিশ আকারে পরবর্তীতে ডিনস কমিটি ও সিন্ডিকেট সভায় আলোচনা শেষে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বিষয়টি বাংলাদেশ জার্নালকে নিশ্চিত করেছেন প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের একটি অংশ এখনো ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আসেনি। যারা এসেছে তাদের সঠিক তথ্য এখনো আমাদের হাতে আসেনি। তাই শিক্ষার্থীরা ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভ্যাকসিনের কার্যক্রম শেষ করা দরকার। শিক্ষার্থীরা ভ্যাকসিনের আওতায় আসলে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে স্নাতকোত্তর-স্নাতক চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের হলে উঠানো হবে এবং তাদের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে। পরবর্তী সময়ে নভেম্বরের মাঝামাঝিতে স্নাতকের বাকি বর্ষের শিক্ষার্থীদের হলে উঠনো হবে।
শিক্ষার্থীদের হলে উঠানোর সকল প্রস্তুতি আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের প্রভোস্ট কে এম সাইফুল ইসলাম খান।
করোনা সংক্রমণের কারণে গত বছরের মার্চে বন্ধ হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ক্যাম্পাস। পরে বিভিন্ন সময় হল ক্যাম্পাস খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হলেও সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।