<< জনগণের সরকার হলে তালেবানের সঙ্গেও বন্ধুত্ব: বাংলাদেশ

তালেবান আফগানিস্তানে জনগণের সরকার গঠন করলে তাদের সাহায্যার্থে বাংলাদেশও এগিয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

সোমবার বিকেলে চীনের সঙ্গে যৌথভাবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা উৎপাদনের চুক্তি শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি কথা বলেন।

আফগানিস্তানে তালেবান সরকার গঠন করলে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কেমন হবে, এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যদি তালেবান সরকার গঠন করে আর ‌সেটা যদি জনগণের সরকার হয়, অবশ্যই তাদের জন্য আমাদের সাহায্য ও বন্ধুত্বের দরজা খোলা।’

‘আফগানস্থান আমাদের প্রতিবেশী দেশ, আমাদের বন্ধু দেশ। আমরা চাই, তাদের দেশেও উন্নতি হোক। আমরা সবাইকে নিয়ে সব দেশের উন্নয়ন করতে চায়। আফগানিস্থানে যে সরকারই আসুক, সেটা যদি জনগণের সরকার হয় আমরা তা গ্রহণ করবো।’

দুই দশক পর আবারও আফগানিস্তানের ক্ষমতার মসনদে বসতে যাচ্ছে তালেবান। রাজধানী কাবুল, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ প্রায় সবকিছুই এখন তাদের দখলে। দেশটির রাষ্ট্রপতি আশরাফ ঘানি আফগানিস্থান ছেড়ে তাজিকিস্তান হয়ে ওমানে আশ্রয় নিয়েছেন।

আফগানিস্তানে তালেবানদের সরকার ঘোষণা কেবল সময়ের ব্যাপার। এমন পরিস্থিতিতে দেশটিতে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তালেবান থেকে বলা হয়েছে, তারা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন। ভয়ে বা আতঙ্কিত হয়ে নাগরিকেরা যেন দেশ না ছাড়েন।

তালেবানদের এমন আশ্বাসে আস্থা রাখতে পারছে না কাবুলবাসী। দেশ ছাড়তে উন্মুখ তারা; ভিড় করছেন বিমানবন্দরে।

ডিএমপি কমিশনার থেকে জানানো হয়েছে আফগানিস্তানে তালেবানের যুদ্ধে অংশ নিতে বাংলাদেশ থেকেও কিছু ব্যক্তি সেখানে গেছে। এ বিষয়েও প্রশ্ন রাখা হয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে।

তিনি বলেন, ‘কিছু সন্ত্রাসী আমাদের দেশে ছিল। তারা আফগান থেকে ট্রেনিং নিয়ে আসছেন। আমরা সেগুলোকে উচ্ছেদ করেছি। এখন আমাদের দেশে এ ধরনের সন্ত্রাসী নাই। আমরা আশা করি, এই ধরনের সন্ত্রাসী আমাদের দেশে আর তৈরি হবে না।’