সিলেটের জকিগঞ্জে ২৮তম গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে জানিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)।
সোমবার রাষ্ট্রীয় এ সংস্থাটি জানায়, জকিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম আনন্দপুর গ্রামে এই গ্যাক্ষেত্রেটির সন্ধান পাওয়া যায়। এই ক্ষেত্র থেকে ১০ থেকে ১২ বছর গ্যাস উত্তোলন সম্ভব হবে।
এর আগে গত মাসে আনন্দপুর গ্রামে এই গ্যাক্ষেত্রটির একটি কূপে গ্যাসের আলামত পাওয়া যায়। সেই কূপে ড্রিল স্টিম টেস্ট (ডিএসটি) চালিয়ে ‘সৌভাগ্য শিখা’ প্রজ্জ্বলন করতে সক্ষম হন বাপেক্সের বিশেষজ্ঞরা।
জকিগঞ্জের নতুন এ ক্ষেত্রটি ছাড়া বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ২৭টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। এসব গ্যাসক্ষেত্রে প্রমাণিত মজুদের পরিমাণ ২১ দশমিক ৪ টিসিএফ, আরো ৬ টিসিএফ রয়েছে সম্ভাব্য মজুদ। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ১৮ টিসিএফ উত্তোলন করা হয়েছে। সে হিসেবে প্রমাণিত মজুদ অবশিষ্ট রয়েছে মাত্র ৩ টিসিএফ, আর সম্ভাব্য মজুদ রয়েছে আরো ৭ টিসিএফের মতো।
১১৩টি কূপ দিয়ে প্রতিবছরে উত্তোলিত হচ্ছে প্রায় ১ টিসিএফের মতো। এর মধ্যে দেশীয় কোম্পানির ৭০টি কূপের (দৈনিক) ১ হাজার ১৪৫ এমএমসিএফডি, আইওসির ৪৫টি কূপের উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে ১ হাজার ৬১৫ এমএমসিএফ (মিলিয়ন ঘনফুট)। দৈনিক কমবেশি ২ হাজার ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলিত হচ্ছে। গ্যাসের ঘাটতি মোকাবেলও এলএনজি আমদানি করতে হচ্ছে।