যতই দিন যাচ্ছে, ততই কঠিন হচ্ছে জীবন সংগ্রাম। আর এই জীবন চলার পথে প্রায়ই আমরা মানসিক চাপে ভোগী। এই চাপ থেকে অনেক সময় অবসাদ ভর করে শরীরে, যা জীবনকে বিষিয়ে দেয়।
মানসিক চাপ দীর্ঘসময় লালন করলে শরীরের বড় ক্ষতি হতে পারে। এই চাপের কারণে বিষণ্নতা, হৃদরোগ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি রোগ সঙ্গী হতে পারে। এ ছাড়া দৈনন্দিন স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন— মাথাব্যথা, পিঠের ব্যথা, অনিদ্রা, পেট খারাপ, উদ্বেগ, ক্রোধ ইত্যাদির পেছনেও দায়ী মানসিক চাপ।
এই চাপ অনুভব করলে তা থেকে উপশমের কিছু উপায় আছে। আসুন জেনে নিই সেই সম্পর্কে—
১. যোগ-ব্যায়াম
স্ট্রেস বা চাপ কমানোর কার্যকরী উপায় হচ্ছে— যোগ-ব্যায়াম বা ইয়োগা। এটি আপনাকে ধীরস্থির এবং নমনীয় করে তুলে শারীরিক উত্তেজনা থেকে মুক্তি দিতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, যোগ-ব্যায়াম রক্তচাপও কমায়।
এ ছাড়া যোগ-ব্যায়ামের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো— এটি মানসিক মনোযোগ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
২. হাঁটা-হাঁটি
চাপ কমানোর জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় হিসেবে বেছে নিতে পারেন হাঁটাহাঁটি করা। ঘন ঘন হাঁটা মানসিক চাপ, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি দেয়।
৩. গার্ডেনিং
ভালো সময় কাটানোর জন্য গার্ডেনিং বা বাগান করা একটি ভালো উপায়। আপনার চাপ কমাতে বাগান করতে এবং তার পরিচর্চায় কিছু ব্যস্ত সময় কাটাতে পারেন।
৪. নাচ
শুনতে অবাক লাগলেও নাচের অনেক শারীরিক ও মানসিক উপকার রয়েছে। এটি চাপ কমানোর জন্য একটি দুর্দান্ত অনুশীলন, যা আপনার হৃদস্পন্দন বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে অনুগ্রহ এবং তত্পরতা বৃদ্ধিতেও উপকারী। এ ছাড়া গবেষকরা দেখেছেন যে, যারা সপ্তাহে দুবার কিছু সময় নাচেন তাদের ডিমেনশিয়া হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।
৫. টেনিস খেলা
টেনিস খেলায় অনেক স্ট্রেস-সম্পর্কিত অবস্থা যেমন, উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে পারে। এটি যেহেতু আপনি একা খেলতে পারবেন না, তাই এর মাধ্যমে আপনাকে অন্যদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে হবে। আর এটি হচ্ছে— স্ট্রেস কমানোর একটি মূল উপাদান।
৬. ঘরোয়া ব্যায়াম
ঘরোয়া ব্যয়াম মানসিক চাপ কমানোর পাশাপাশি শরীরের সচেতনতা, মূলশক্তি হিসেবে কাজ করে। দেহ, মন ও শক্তি- এ তিনটি জিনিসের সমন্বয়ে আমাদের শরীর চলে। এর কোনো একটি যদি ঠিকঠাক কাজ না করে তাহলে শরীর ঠিকভাবে কাজ করবে না। তাই, নিয়মিত ঘরোয়া ব্যায়াম চালিয়ে যেতে হবে।