<< চার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সদস্য পদ স্থগিত

অনিয়মের দায়ে ইভ্যালিসহ চারটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ স্থগিত করেছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। অন্যগুলো হচ্ছে ধামাকা শপিং, সিরাজগঞ্জ শপ ও গ্লিটার্স আরএসটি ওয়ার্ল্ড। বুধবার ই-ক্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গত ১৮ আগস্ট ই-অরেঞ্জসহ চারটি কোম্পানির সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছিল। এ নিয়ে আটটি ই কমার্স প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ স্থগিত করল ই-ক্যাব।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব কোম্পানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গত ২৮ আগস্ট ১১ সদস্যের একটি কমপ্লায়েন্স অ্যাডভাইজরি কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি এদের সদস্যপদ স্থগিতের সুপারিশ করেছে।

কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তাদের অনেকেই হয় দেশ ছেড়েছেন, না-হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার বা নজরদারিতে আছেন। প্রতারণার অভিযোগে বিভিন্ন জেলায় মামলা করছেন গ্রাহকরা। তারা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভও করছেন।

কিউকমসহ আরও কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে গ্রাহকের টাকা নিয়ে পণ্য সরবরাহে গড়িমসির অভিযোগ উঠলেও তাদের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি সংগঠনটি। প্রসঙ্গত নীতিমালা এবং আইনের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ইভ্যালি ১১০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে গ্রাহকদের। এছাড়া ধামাকা নিয়েছে ৮০৩ কোটি টাকা, সিরাজগঞ্জশপ ৪৭ কোটি টাকা।

যে চার কোম্পনির সদস্য পদ স্থগিত :

ইভ্যালি : দীর্ঘদিন ধরে বারবার সময় নেওয়ার পরও ক্রেতাদের সমস্যার সমাধান করেনি প্রতিষ্ঠানটি। তারা ই-ক্যাবের চাহিদা অনুযায়ী তথ্যও সরবরাহ করেনি। পরিপূর্ণভাবে পালন করেনি ডিজিটাল কমার্স নির্দেশিকা-২০২১। এছাড়া ক্রেতা-বিক্রেতার পাওনা পরিশোধের বিষয়ে সন্তোষজনক পদক্ষেপ নেয়নি। এগুলোসহ আরও কিছু অভিযোগে ইভ্যালির সদস্যপদ স্থগিত করেছে ই-ক্যাব।

ধামাকা শপিং : কয়েক মাস হয়ে গেলেও ক্রেতাদের পণ্য বা মূল্য ফেরত দেয়নি এ প্রতিষ্ঠান। তারা ক্রেতা ও সরবরাহকারীদের অভিযোগগুলো সমাধানেও গড়িমসি করেছে। এছাড়া ক্রেতা-বিক্রেতার পাওনা পরিশোধে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। উলটো অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ রাখে।

সিরাজগঞ্জ শপ : ই-ক্যাবের চিঠির জবাব না দেওয়া, অভিযোগগুলো নিষ্পত্তি না করা এবং ডিজিটাল কমার্স নির্দেশিকা-২০২১ প্রতিপালন না করা।

গ্লিটার্স আরএসটি ওয়ার্ল্ড : প্রতিষ্ঠানটি ই-কমার্সের নামে বেআইনি এমএলএম ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ই-ক্যাব। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব কোম্পানির সদস্য পদ স্থগিত করে সমস্যা সমাধানে ৩০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে কোনো অগ্রগতি না হলে সদস্যপদ বাতিল করা হবে।

প্রতারণার অভিযোগে ধামাকার সিওওসহ তিনজনকে বুধবারই গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে র‌্যাব। সিআইডি ১১৬ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে ধামাকার বিরুদ্ধে। এ কোম্পানির মূল উদ্যোক্তা অনেক আগেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন বলে জানতে পেরেছে র‌্যাব।