পরিবর্তন হলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সংজ্ঞা। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির সর্বশেষ কমিশন বৈঠকে এখন থেকে ২০ মেগাবাইট পার সেকেন্ডের বেশি গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট হিসাবে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। প্রায় এক যুগ পরে নীতিমালা হালনাগাদ করে প্রণীত হয়েছে জাতীয় ব্রডব্যান্ড নীতিমালা ২০২৩-এর খসড়া নীতিমালা। এখনো চূড়ান্ত না হলেও লাইসেন্স গাইডলাইন অনুযায়ী, ফোর-জি মোবাইল ইন্টারনেটে ন্যূনতম গতি ১৫ এমবিপিএস নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, মোবাইলে ইন্টারনেটের গতি নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে কেনো মানদণ্ড বেধে দেওয়া হয়নি। মোবাইলের ক্ষেত্রে ডেটা প্রাইস, স্পিড আমরা কন্ট্রোল করি না। নিঃসন্দেহে এর প্রয়োজন আছে। অবশ্য এটা আপেক্ষিক। আর যেহেতু সামগ্রিক বিষয় পর্যালোচনা করে মূল্যায়ন করতে হবে; তাই ৫জি চালুর পর আমরা মোবাইলেও ইন্টারনেটের সেবার মূল্য ও গতির মানদণ্ড ঠিক করে দিব। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি দ্বিগুণ করার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। এখন বাস্তবতায় ব্রডব্যান্ডের গতি হবে ২০ এমবিপিএস বা তার চেয়ে বেশি।
নতুন গাইডলাইনে ‘মানদণ্ড উন্নয়ন’ বাস্তবসম্মত উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ব্যান্ডউইথ আছে। মানসম্মত সেবা দেওয়ারও সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। তাই এখন ট্রান্সমিশনে সহায়তা পেলে এক বছরের মধ্যে নতুন মানদণ্ড বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। লাইসেন্স গাইডলাইন অনুযায়ী মোবাইল ইন্টারনেটের ন্যূনতম গতি ৭ এমবিপিএস থাকার কথা। আর ফোরজি’র ক্ষেত্রে এ গতি ১৫ এমবিপিএস-এ উন্নীত করতে একটি কমিটি গঠন করেছে বিটিআরসি। ওই প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পরে বিটিআরসি ইন্টারনেটের গতির নতুন মানদণ্ডের আনুষ্ঠানিক আদেশ দেবে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৮ সালে বিটিআরসি ব্রডব্যান্ডের ন্যূনতম গতির মানদণ্ড ৫ এমবিপিএস থেকে বাড়িয়ে ১০ এমবিপিএস করে। আর ২০০৮ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে ৬ বার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি পরিবর্তন হয়েছে। ২০০৮ সালে দেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের মানদণ্ড ছিল ১২৮ কেবিপিএস। এরপর ২০১১ সালে ৫১২ কেবিপিএস, ২০১৩ সালে ১ এমবিপিএস, ২০১৫ সালে ২ এমবিপিএস, ২০১৬ সালে ৫ এমবিপিএস এবং ২০১৮ সালে ১০ এমবিপিএস গতি নির্ধারণ করে ব্রডব্যান্ডের সংজ্ঞা ঠিক করা হয়।