আজারবাইজান সীমান্তে সেনা মোতায়েনের পর তুরস্ক-আজারবাইজান যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর মাধ্যমে তুরস্ক ইরানকে কঠোর বার্তা দিতে চাইছে।
সম্প্রতি কয়েকটি ঘটনায় আজারবাইজানের ওপর ব্যাপক ক্ষোভ থেকে দেশটির সীমান্তে সামরিক মহড়া শুরু করে ইরান। ক্ষোভগুলো হলো- গত মাসে বাকুতে তুরস্ক, পাকিস্তান ও আজারবাইজানের যৌথ মহড়া, এছাড়া চিরশত্রু ইসরাইলের সঙ্গে আজারবাইজানের ঘনিষ্ঠ সামরিক সম্পর্ক নিয়ে উদ্বিগ্ন ইরান।
তেহরানের দাবি, গত বছর নাগোর্নো কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়ার সঙ্গে ৪৪ দিনের যুদ্ধে আজারবাইজান ইসরাইলের কাছ থেকে নজরদারি ড্রোনসহ সামরিক সরঞ্জামাদির সুবিধা নিয়েছে।
এসব ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ইরান গত শুক্রবার আজারবাইজান সীমান্তে সামরিক মহড়া শুরু করে।
তবে ইরানের সামরিক মহড়ায় পূর্বের মতো আজারবাইজানের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে তুরস্ক। দেশ দুটি মিলে যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এর মাধ্যমে তুরস্ক ইরানকে বোঝাতে চাইছে আজারবাইজান একা নয়, প্রতিবেশী তুরস্ক সর্বদা বাকুর পাশে আছে।
আজারবাইজানে সাবেক যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ম্যাথিউ ব্রেইজা বলেন, ইরানের সামরিক মহড়ার পর তুরস্ক-আজারবাইজানের সামরিক মহড়া একদিকে আগুন উসকে দিচ্ছে অন্যদিকে আগুনে পানিও ঢালছে। তুরস্ক বোঝাতে চাইছে, আজারবাইজানকে ভয় দেখালে আঙ্কারা ছেড়ে কথা বলবে না।
ম্যাথিউ ব্রেইজা বলেন, বিবাদামন আজারবাইজান ও ইরান খুব আবেগপ্রবণ অবস্থায় আছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ‘আজারবাইজানের সেনাবাহিনী ইরানের সেনাবাহিনীর একশত ভাগের একভাগ’ এমন মন্তব্য করার পর বাকুতে তেহরানের দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে আর্মেনিয়ার সঙ্গে ছিটমহল নাগার্নো কারাবাখ নিয়ে আজারবাইজানের যুদ্ধ বেধে যায়। এই যুদ্ধে তুরস্ক আজারবাইজানের প্রতি সরাসরি সমর্থন ঘোষণা করে। তুরস্কের সমর্থনে আর্মেনিয়ার কাছ থেকে আজারবাইজান অকে অঞ্চল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।