দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসন ভাগাভাগি নিয়ে ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গে রোববার রাতে বৈঠকে বসেন আওয়ামী লীগের নেতারা। সংসদ ভবন এলাকার এমপি হোস্টেলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের কার্যালয়ে রাত ৯টার দিকে এ বৈঠক শুরু হয়। রাত সাড়ে ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ১৪ দলের শরীকরা নৌকা প্রতীকেই ভোট করবেন। তবে এ বৈঠকে আসন ভাগাভাগি হয়নি। কে কতো আসন পাবেন তা দু-একদিনের মধ্যে জানা যাবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু এবং দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এছাড়া আরও আছেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। রাত সাড়ে ৯টার দিকে সভাস্থল ত্যাগ করেন নাছিম।
জোটের নেতাদের মধ্যে আছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি, জাতীয় পার্টি- জেপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, গণআজাদী লীগের সভাপতি এস কে শিকদার।
বৈঠকের ব্যাপারে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ-এর সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ১৪ দলীয় জোট একসাথে নির্বাচন করবে। নৌকা প্রতীক নিয়ে। তবে চূড়ান্ত আসন বণ্টন সম্ভব হয়নি।
রাশেদ খান মেনন বলেন, এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। জোট আছে। আসন কোনটা কাকে দেয়া হবে ঠিক হয়নি। লম্বা লিস্ট ছোট করা হয়েছে। কোথায় কে জিতবে সেটা গুরুত্ব দেয়া হবে। বহির্বিশ্বের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়, এমন নির্বাচন হবে।
দ্বাদশ নির্বাচনের জন্য ২৯৮ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু (কুষ্টিয়া-২) ও জাতীয় পার্টি সেলিম ওসমানের (নারায়ণগঞ্জ-৫) আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেনি আওয়ামী লীগ। এছাড়া ১৪ দলীয় শরিকদের ৭ আসনেও প্রার্থী দেয় ক্ষমতাসীন দলটি। আসন ভাগাভাগি নিয়ে জোটের নেতাদের মধ্যে মনোমালিন্য তৈরি হয়। এরই মধ্যে গত ৪ ডিসেম্বর জোটের নেতাদের নিয়ে গণভবনে বৈঠক করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সেখানে আসন ভাগাভাগির বিষয়টি সমন্বয় করতে জোটের মুখপাত্র আমির হোসেন আমুকে দায়িত্ব দেয়া হয়।