ভাড়া নির্ধারণ প্রক্রিয়া অনুযায়ী, ছাত্র-ছাত্রী ও দাঁড়ানো যাত্রীদের হাফ ভাড়া দাবি বা দয়া নয়, বরং এটি যাত্রীদের অধিকার বলে মনে করেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
সোমবার (২২ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহানগরীসহ শহরতলীর বাস-মিনিবাসের ভাড়া নির্ধারণকালে ৭০ শতাংশ আসন গড় বোঝাই ধরে ভাড়া নির্ধারণের ফলে বাকী ৩০ শতাংশ আসনের ভাড়া ৭০ শতাংশ যাত্রীরা পরিশোধ করে। তাই এই ৩০ শতাংশ আসনে ছাত্র-ছাত্রী ও প্রতিবন্ধী যাত্রীদের হাফ ভাড়া নিশ্চিত করার পাশাপাশি ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হিসেবে চলাচলকারী দাঁড়ানো যাত্রীদের কাছ থেকেও অর্ধেক ভাড়া নেওয়ার দাবি জানাই।
তিনি বলেন, যাত্রী প্রতিনিধি না রেখে ভাড়া নির্ধারণ করায় বিআরটিএ কর্মকর্তাদের ভুল বুঝিয়ে বাস মালিকেরা নানা খাতে অযৌক্তিক ও অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়ে একচেটিয়া ভাড়া বাড়ানোর ফলে এই ভাড়া যাত্রীদের গলার কাটায় পরিণত হয়েছে। এই ভাড়া পরিশোধ করে বাসে যাতায়াত করা নিন্মবিত্ত ও মধ্যবিত্ত যাত্রীদের জন্য দুরুহ হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে ঢাকা শহরে কথিত সিটিং ও গেটলক সার্ভিসের নামে ওয়েবিলে যাত্রীর মাথা গুণে গুণে ৫ কিলোমিটার যাতায়াতের ক্ষেত্রে ২৫ কিলোমিটারের ভাড়া আদায় করে ভোগান্তি বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। স্বল্প দূরত্বের যাত্রীদের সরকার নির্ধারিত ভাড়ার ৩/৪ গুণ বাড়তি ভাড়া আদায়ের ফলে নাগরিক জীবন বিষিয়ে উঠেছে।