বাংলাদেশে ইন্টারনেট গ্রাহক ও ব্যবহার বাড়লেও উৎপাদনশীল কাজে এ সেবা ব্যবহৃত হচ্ছে না। ইন্টারনেট সেবার অর্ধেকই চলে যাচ্ছে বিপথে। ইন্টারনেট সেবাদাতা সংস্থা বলছে, পর্নোগ্রাফি, টিকটক, ফ্রি-ফায়ার কিংবা পাবজির পেছনে চলে যাচ্ছে দেশের অর্ধেক ইন্টারনেট।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে নিরাপদ ইন্টারনেট বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে এমন উদ্বেগজনক তথ্য জানিয়েছেন ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবি সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক।
তিনি জানান, বর্তমানে দেশে ব্যবহৃত দুই হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথের অর্ধেকই ব্যয় হচ্ছে ভার্চুয়াল গেম, টিকটক, লাইকি ও পর্নোগ্রাফি দেখার পেছনে।
তিনি বলেন, শতকরা ৫০ শতাংশ ইন্টারনেটই পর্নো, গেমিং বুলিংয়ে ব্যবহার হচ্ছে। ফ্রি-ফায়ার-পাবজির পর, টিকটক-লাইকির মতো অ্যাপ বন্ধের প্রক্রিয়ার পাশাপাশি নিরাপদ ইন্টারনেটের জন্য আইন করার কথাও ভাবছে বিটিআরসি। ফ্রি-ফায়ার ও পাবজির মতো অনলাইন গেম কিশোর-তরুণদের আগ্রাসী করতে তুলছে বলে নানা মহল থেকে অভিযোগ ওঠার পর সেগুলো বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া ২০ হাজারের বেশি পর্নো সাইট আগে থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দেশে স্মার্টফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১১ কোটি ৩৬ লাখ। আর ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন এক কোটি গ্রাহক।