লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পৌর শহরের যুবক আলমগীর শেখ (৩৫) ভারতে ট্যুরিস্ট ভিসায় গিয়ে ভারতবিরোধী পোস্ট ও লাইভে কথা বলায় তাকে আটক করে নির্যাতনের পর ভিসা বাতিল করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। বুড়িমারী স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ আহসান হাবীব মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রোববার রাত ৮টায় ভারতে চ্যাংড়াবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের মাধ্যমে ভিসা বাতিল করে বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাকে হন্তান্তর করে। আলমগীর শেখ লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জুম্মাপাড়া এলাকার নুরু শেখের ছেলে।
ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্র জানায়, ৩ সেপ্টেম্বর পর্যটন ভিসায় ভারতে যান আলমগীর হোসেন। সেখানে সামাজিক মাধ্যমে ভারতবিরোধী পোস্ট ও লাইভ করেন। বিষয়টি তখনই নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নজরে আসে এবং আলমগীরকে চিহ্নিত করে।
রোববার দুপুরে চ্যাংড়াবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের মারফৎ বাংলাদেশে ফেরত যাওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়। এরপর চলে জিজ্ঞাসাবাদ। এক পযার্য়ে একটি অন্ধকার ঘরে আটকিয়ে রাখা হয় প্রায় ৯ ঘণ্টা। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের নামে চলে ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ-র মানসিক নির্যাতন ও হয়রানী। পানি পর্যন্ত ক্ষেতে দেয়নি তাকে। অবশেষে তার ভিসা বাতিল করে বাংলাদেশে পাঠানো হয়।
আলমগীর শেখের ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা যায়, ভারতের তাজমহলে গিয়ে একটি লাইভে বলেন, ১৯৭১ সালে ভারত আমাদের অনেক সহযোগিতা করছেন, পাশাপাশি পাকিস্তান থেকে আমাদের ভাগ করে দিয়েছেন। এবার বাংলাদেশের জনগণ মিলে আমরা ভারতকে ভাগ করতে চাই। মনিপুরের জয় হোক। পাশাপাশি আমার বাংলা আমি ফেরত চাই। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা আসাম রাজ্য বাংলাদেশের কাছে ফেরত দিতে বলেন।
ভারতের মেখলিগঞ্জ মহকুমা পুলিশ কর্মকর্তা আশিষ পি সুব্বা জানান, তদন্তের কারণে বাংলাদেশি ওই নাগরিককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পরে ওর ভারতে প্রবেশের ভিসা বাতিল করে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
আলমগীর শেখ জানান, ইমিগ্রেশনে আসার সাথে সাথে তাকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। পরে একটি অন্ধকার ঘরে নিয়ে গিয়ে প্রায় ৯ ঘণ্টা আটকিয়ে রাখা হয়। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের নামে চলে ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ-র মানসিক নির্যাতন ও হয়রানী। পানি পর্যন্ত ক্ষেতে দেয়নি তাকে।
বুড়িমারী স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ আহসান হাবীব বলেন, ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশে ওই যুবকের ভিসা বাতিল করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।