নির্বাচন কমিশন বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে থাকা জনগণের ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের ডেটাবেইস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে মোবাইল কোম্পানিগুলোকে পৃথক ডেটাবেইস তৈরির নির্দেশনা কেন বাতিল করা হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
হিউম্যান রাইট অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, বিটিআরসির চেয়ারম্যান ও সব মোবাইল অপারেটরকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সারওয়ার আহাদ চৌধুরী, একলাস উদ্দিন ভূঁইয়া, মামুন আলীম ও রিপন বাড়ৈ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। মনজিল মোরসেদ আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শুনানিতে মনজিল মোরসেদ বলেন, বিটিআরসির নির্দেশনা যদি মোবাইল কোম্পানিগুলো অনুসরণ শুরু করে, তাহলে সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে চলে যাবে। যাতে জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হবে। বিটিআরসির সিদ্ধান্ত সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৩ (খ) বিরোধী এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন ২০১০-এর ১৩ ধারার পরিপন্থী।