টঙ্গীতে অনুষ্ঠিতব্য দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হচ্ছে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার। ইতোমধ্যে ইজতেমার সার্বিক প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে শেষ পর্যায়ের আনুষঙ্গিক কাজ। ইজতেমার প্রথম পর্বে যোগ দেওয়ার জন্য দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন মুসল্লিরা। তাবলিগ জামাতের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এবার ছয় দিনের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে মাওলানা জোবায়েরপন্থি মুসল্লিরা অংশ গ্রহণ করবেন। চার দিন বিরতির পর ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু হবে। এ পর্বে অংশগ্রহণ করবেন সাদপন্থি মুসল্লিগণ।
এদিকে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল করতে দুই গ্রুপের মুরুব্বিদের নিয়ে রবিবার ইজতেমা মাঠে সর্ব শেষ সমন্বয় সভা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সভায় দুই গ্রুপই স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের আশ্বস্ত করেছে যে, তারা কোনো বিশৃঙ্খলা বা কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সঙ্গে যুক্ত হবেন না। সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম ও জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এবারের বিশ্ব ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে বিশেষ ট্রেন সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সিভিল সার্জন মো. খায়রুজ্জামান জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের সেবা কার্যক্রম প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। মুসল্লিদের বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকায় স্বাস্থ্য বিভাগের ছয়টি ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।