<< উচ্চ মাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

ক্রমশ ভূমিকম্পপ্রবণ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। মাঝেমধ্যেই ছোট ও মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠছে দেশ। এসব ভূমিকম্পে তেমন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বড় মাত্রার ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের তীব্রতা হতে পারে ৯ মাত্রার। আর এটা হলে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হতে পারে রাজধানী ঢাকা। ন্যাচার জিওসায়েন্সে প্রকাশিত এক গবেষণায় এ কথা বলেছে গবেষকরা।

তারা বলছেন, গত ৪০০ বছর ধরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরেই গড়ে ওঠা দুটি টেকটোনিক প্লেটের ‘সাবডাকশন জোন’ টান টান (স্ট্রেইন) অবস্থা তৈরি করেছে। এই শক্তি মুক্ত হলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে। আগে ভাবা হতো যে, এই অঞ্চলের ‘প্লেটের বাউন্ডারি’ আনুভূমিকভাবে কাছের পৃষ্ঠদেশের উপর দিয়ে পিছলে যাচ্ছিলো। এটা হলে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হতো না। তবে প্রকৃত অবস্থা এমনটা নয়। ‘সাবডাকশন জোন’ এর বিষয়টি পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরে এ কারণে ভূমিকম্প হয়েছিলো।

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যামন্ট-ডোহার্টি আর্থ অবজারভেটরির গবেষক মাইকেল স্টেকলার বলেন, আমাদের মধ্যে অনেকেই এই ভূমিকম্পের বিষয়টি নিয়ে আশঙ্কা করে আসছেন। তবে আমাদের কাছে সকল তথ্য ও মডেল নেই।

এই ভূমিকম্প শিগগিরই হবে নাকি আরো ৫শ’ বছর পরে হবে সে বিষয়ে আমরা এখনই বলতে পারি না। তবে মাটির নিচে যে টান টান অবস্থার তৈরি হয়েছে সেটা আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ হুমায়ুন আক্তার, যিনি এই গবেষণায় যুক্ত, তার মতে, এই বড় মাত্রার ভূমিকম্প মোকাবেলায় বাংলাদেশ এখনো প্রস্তুত হতে পারেনি। দুর্বল কাঠামো, বিপুল জনসংখ্যা আর দ্রুত বাড়তে হারে অবকাঠামো বাড়ার মানে হলো ক্ষতিক্ষতিও বিপুল হবে।