প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে যাবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (২৪ মে) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত সড়ক ভবনে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান তিনি।
ওই অনুষ্ঠান থেকে চট্টগ্রামের ‘বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ’ প্রকল্পের গ্রাউন্ড ব্রেকিং কাজের উদ্বোধন করেন সেতুমন্ত্রী। ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় কুমার ভার্মা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে সেপ্টেম্বের ভারতে যাবেন। এর মধ্যে আমাদের পার্টি টু পার্টি একটি আলোচনা হবে। সেটার জন্য ভারতের বিজেপি থেকে আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমরা আশা করছি, জুলাই মাসে যাব।
এসময় রাজনৈতিক কর্মসূচির প্রসঙ্গ এলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনের নামে তারা (বিএনপি) নৈরাজ্য করবে, তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করবে, এটা তাদের পুরোনো স্বভাব। কাজেই যখন যেটাকে মোকাবিলা করতে হয়, সেই পরিস্থিতিই বলে দেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কী করতে হবে বা তাদের দায়িত্ব কী। রাজনৈতিক যেকোনো বিষয় আমরা রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করব।
তিনি আরও বলেন, রাজনীতিরও একটা ভাষা আছে। বিএনপি দু’দিন আগে যে ঘটনা ঘটিয়েছে… রাজশাহীতে তারা স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিয়েছে। তিনি (রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ ওরফে চাঁদ) কোনো সামান্য ব্যক্তি এটা মনে করার কারণ নেই। তিনি বিএনপির জেলা আহ্বায়ক, বিএনপির সেন্ট্রাল কমিটির মেম্বার৷ আমি অবাক হলাম মির্জা ফখরুল, যিনি দলের মহাসচিব, একটা শব্দও করলেন না।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের কোনো জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যদি বেগম খালেদা জিয়াকে এমন আক্রমণাত্মক কিছু বলে তখন কী বলবেন? তিনি কোনো বিশেষ ব্যক্তি নন, তিনি জেলার নেতা… এগুলো মানবেন?