নোয়াখালীতে অভিনব কায়দায় পেটের ভেতরে করে ২৪৫০ পিস ইয়াবা বহনকালে নাজু আক্তার (৩৩) নামের এক গৃহবধূকে আটক করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এসময় তার সহযোগী হিসেবে স্বামী মো. এরশাদুল আলমকেও (২৬) আটক করা হয়।
জানা যায়, এরশাদুল আলম তার স্ত্রীর পেটে করে দেশের বিভিন্নস্থানে ইয়াবা চালান করতো। রোববার (১৪ মে) সন্ধ্যায় জেলা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় তাদের। এর আগে শনিবার (১৩ মে) বিকেলে ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের চৌমুহনী মিয়ারপুল এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
এরশাদুল আলম কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম শিকদার-লিচুয়াপ্রাং গ্রামের মো. অলি আহমেদের ছেলে ও নাজু আক্তার নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের ভবানী জীবনপুর গ্রামের মৃত অলি আহমেদের মেয়ে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জানায়, কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম হয়ে বিশেষ কায়দায় নোয়াখালীতে একটি ইয়াবার চালান আসছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার (১৩ মে) বিকেলে ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের চৌমুহনী মিয়ারপুল এলাকায় অবস্থান নেয় মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের সদস্যরা। এ সময় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা শাহী পরিবহন নামের একটি বাসের গতিরোধ করা হয়। পরে ওই গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এরশাদুল আলম ও নাজু আক্তারকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা পেটের ভেতরে ইয়াবা বহন করার কথা স্বীকার করেন। তাদের মাইজদীর মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তির পর এক্সরে করেন চিকিৎসক। পরে ওষুধ সেবন করিয়ে পায়ুপথ দিয়ে ২ হাজার ৪৫০ পিস ইয়াবা বের করা হয়।
জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হামিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, এরশাদুল ও নাজু দম্পতি দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা কারবারির সঙ্গে জড়িত। তাদের মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।