মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য পদে বাংলাদেশ ১৮৯টি ভোটের মধ্যে ১৬০ ভোট পেয়েছে, যা এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে সর্বোচ্চ। এ অঞ্চলে বাংলাদেশসহ মোট ৭টি দেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। নির্বাচিত হয়েছে ৪টি দেশ। বাংলাদেশ ছাড়া অন্য তিনটি নির্বাচিত সদস্য হলো মালদ্বীপ (ভোট ১৫৪টি), ভিয়েতনাম (১৪৫ ভোট) ও কিরগিজস্তান (১২৬ ভোট)।
৪৭ সদস্য বিশিষ্ট মানবাধিকার পরিষদে সদস্য হিসেবে চারবার নির্বাচিত হয়েছিল বাংলাদেশ। এবারের জয়ে বাংলাদেশ পঞ্চমবারের মতো সংস্থাটির সদস্য নির্বাচিত হলো।
বাংলাদেশের জয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, এই মর্যাদাপূর্ণ জয়টি বাংলাদেশের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ ২০১৮ সালের পর এটি বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক নির্বাচন। এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বাংলাদেশ ৭টি দেশের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে চারটি আসনের একটি পেয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই নির্বাচনের ফলাফল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশের অব্যাহত প্রচেষ্টা এবং অঙ্গীকারের আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতির সুস্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ।
বাংলাদেশ জাতিসংঘের একটি দায়িত্বশীল সদস্য রাষ্ট্র এবং আগামী তিন বছরের জন্য মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে জাতীয় ও বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।