ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। এ সময় তিনি এ আশাবাদের কথা জানান।
মার্কিন দূতাবাস জানায়, সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যেকার ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান ইতিবাচক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অর্জনগুলো নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি কী করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করা যায়- সেসব উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, আমাদের মাঝে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা শরণার্থী সহায়তা ও কোভিড-১৯ সহ বিভিন্ন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক অগ্রগতি, জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের নেতৃত্ব, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে উদারতা এবং বিশ্ব শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অসাধারণ অবদানের প্রশংসা করেন।
হাস বলেন, আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেছি যে, আমি মনে করি আমাদের সবচেয়ে বেশি যৌথ গৌরবের অর্জনগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কোভিড-১৯ সঙ্কট একত্রিতভাবে মোকাবিলা করা।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি বাংলাদেশের ৭০ শতাংশেরও বেশি জনসংখ্যাকে টিকা দেওয়ার প্রচেষ্টার প্রশংসা করি।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং তাদেরকে আশ্রয়দানকারী স্থানীয় বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দেওয়া অব্যাহত রাখার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
করোনা পরিস্থিতি ও শিডিউল জটিলতাসহ নানা কারণে ঢাকায় আসার প্রায় ছয় মাসের বেশি হয়ে গেলেও প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পাননি পিটার হাস। এটি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের প্রথম সাক্ষাৎ।
সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলারের স্থলাভিষিক্ত হয়ে চলতি বছরের মার্চের শুরুতে ঢাকায় আসেন পিটার হাস। ঢাকায় আসার ১৫ দিনের মাথায় অর্থাৎ গত ১৫ মার্চ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।