<< র‌্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সময় লাগবে

র‌্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এক্ষেত্রে এ সংক্রান্ত কমিটির সদস্যদের সন্তুষ্ট করতে হবে বলেও জানান তিনি।

সোমবার (৪ এপ্রিল) ঢাকা-ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, র‌্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছি, র‌্যাব একটি ভালো প্রতিষ্ঠান। তাদের কারণে দেশে সন্ত্রাস কমেছে এবং র‌্যাবের জবাবদিহিতা আছে। এ ব্যাপারে আমাদের নিজস্ব সিস্টেম আছে এবং অনেকের শাস্তি হয়েছে, এমনকি মৃত্যুদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। তোমরা তাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে আমরা খুশি হব। এর জবাবে ব্লিঙ্কেন জানান, এর একটি প্রক্রিয়া আছে এবং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটি হবে। কিন্তু আমরা দায়বদ্ধতা চাই। এ ব্যাপারে আমরা খুব সোচ্চার।

মোমেন বলেন, আমি ওনাকে বললাম, গত চার মাসে কেউ মারা যায়নি। উনি বললেন, এটা আমি জানি। এ বিষয়ে উনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে উন্নতি করতে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।

সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টিকে উদ্ধৃতি দিয়ে মোমেন ব্লিঙ্কেনকে বলেন, আপনাদেরই একজন রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি বলেছিলেন, র‌্যাব হচ্ছে বাংলাদেশের এফবিআই। আপনাদের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণে র‌্যাবে লোকজন কাজ করতে আগ্রহ হারাবে। আমি খুব খুশি হব যদি আপনারা পুনর্বিবেচনা করেন।

কবে নাগাদ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সম্ভব হবে— জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, এটি সুইচের মতো না যে অন বা অফ করলে সব ঠিক হয়ে যাবে। এটি সম্পন্ন করতে সময় লাগবে।

এর আগে গত ২০ মার্চ ঢাকায় বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অষ্টম অংশীদারিত্ব সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপ শেষে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনীতিবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া ন্যুল্যান্ড সাংবাদিকদের জানান, র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার একটি জটিল প্রক্রিয়া। এ বিষয়ে আরও কাজ করতে হবে। তবে নিষেধাজ্ঞার পর তিন মাস র‌্যাবের কর্মকাণ্ডে তার দেশ সন্তুষ্ট বলেও জানান আন্ডার সেক্রেটারি।

গত ১০ ডিসেম্বরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‍্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে পৃথকভাবে এ নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব বিভাগ) ও পররাষ্ট্র দপ্তর।