<< ইউ‌ক্রেনে আটকা পড়া ছয় শতাধিক বাংলা‌দে‌শি পোল্যান্ড পৌঁ‌ছে‌ছে : পররাষ্ট্র স‌চিব

যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে  ইউ‌ক্রেনে আটকা পড়া ছয় শতাধিক বাংলা‌দে‌শি নাগ‌রিক দেশ‌টি থে‌কে পোল্যান্ড পৌঁ‌ছে‌ছে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন পররাষ্ট্র স‌চিব মাসুদ বিন মো‌মেন। দেশ‌টি‌তে আরও শতা‌ধিক বাংলা‌দে‌শি থাক‌তে পা‌রে ব‌লেও জানান তি‌নি। শুক্রবার (৪ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণাল‌য়ে সাংবা‌দিক‌দের মু‌খোমু‌খি হ‌য়ে এসব তথ্য জানান পররাষ্ট্র স‌চিব।

পররাষ্ট্র স‌চিব ব‌লেন, ইউক্রেন থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে পোল্যান্ড পৌঁছেছেন ৬ শতাধিক বাংলাদেশি। আর ইউক্রেনে ১০০ মতো বাংলাদেশি এখনও থাকতে পারে ব‌লে ধারণা করা হ‌চ্ছে।

মাসুদ বিন মো‌মেন ব‌লেন, ইউক্রেনে যারা এখন আছেন, তাদের বেশির ভাগেরই ফ্যামিলি আছে। তারা হয়তো ইউক্রেন ছাড়বেন না।

এ‌দি‌কে ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের পাশাপাশি এক বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে ভারত। শুক্রবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দেশ‌টির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী।

পররাষ্ট্র স‌চিব সাংবা‌দিক‌দের জানান, ইউক্রেনে কিছু পকেট আছে। সেখানে বাংলাদেশি থাকতে পারেন। আমরা সেখানকার ভারতীয় দূতাবাসকে অনুরোধ জানিয়েছি, ভারতীয়দের উদ্ধারের সময় যদি বাংলাদেশি সেখানে যদি থাকেন; তাহলে তাদেরও যেন সঙ্গে নেন।

রুশ প্রক‌ল্পে লেন‌দে‌নে সমস্যা দেখ‌ছেন পররাষ্ট্র স‌চিব
ইউ‌ক্রেন ও রা‌শিয়ার ম‌ধ্যে চলমান যুদ্ধ প‌রি‌স্থি‌তি বাংলা‌দে‌শে রা‌শিয়ার করা রূপপুর প্রকল্পে কো‌নো প্রভাব ফেল‌বে না ব‌লে ম‌নে কর‌ছেন পররাষ্ট্র স‌চিব মাসুদ বিন মো‌মেন। ত‌বে বাংলা‌দে‌শে রুশ প্রক‌ল্পের ক্ষে‌ত্রে আর্থিক লেন‌দে‌নে সমস্যা দেখ‌ছেন তিনি।

পররাষ্ট্র স‌চিব ব‌লেন, ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশের নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হওয়াতে বাংলাদেশে রুশ প্রকল্পের আর্থিক লেনদেনে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা করছে সরকার।

স‌চিব ব‌লেন, ত‌বে ইউ‌ক্রেন ও রা‌শিয়ার ম‌ধ্যে চলমান যুদ্ধ প‌রি‌স্থি‌তি বাংলা‌দে‌শে রা‌শিয়ার করা রূপপুর প্রকল্পে কো‌নো প্রভাব ফেল‌বে না। আমরা এটা নিয়ে বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলছি। রূপপুর প্রকল্প ইউ‌ক্রেন ইস্যু প্রভাব ফেল‌বে না।

মাসুদ বিন মো‌মেন ব‌লেন, ভবিষ্যতে যদি আরও ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আসে বা সুইফটের নিষেধাজ্ঞা আসে, অথবা বড় বড় যে কোম্পানিগুলো আছে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা সরাসরি আসে; তখন হয়তো জটিলতা আসতে পারে।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জি-সেভেন দেশগুলো ইতোমধ্যে অনেক রাশিয়ার ব্যাংক এবং ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ফলে ইতোমধ্যেই রাশিয়ার অর্থনীতিতে প্রভাব পড়েছে।