বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে সম্প্রতি জেব্রা মৃত্যুর কারণ উদঘাটন এবং করণীয় বিষয়ে মতামত প্রদানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির কাজের সহায়তা এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ প্রদানের জন্য মৎস ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তিনজন বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তাকে মনোনীত করা হয়েছে।
মৎস ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. অমিতাভ চক্রবর্তী জানান, তারা কোন তদন্ত কমিটির সদস্য নন। তবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির কাজের সহায়তা এবং পার্কের পশুদের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে কেবল পরামর্শ দেবেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে ওই এক্সপার্ট/ টেকনিক্যাল পার্সনদের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
মনোনয়নপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা হলেন, কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতালের পরিচালক ডা. শফিউল আহাদ সরকার, ঢাকার কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগারে কর্মরত উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সুকেশ চন্দ্র বৈদ্য ও বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় কর্মরত উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নাজমুল হুদা।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও তদন্ত কমিটির প্রধান সঞ্জয় কুমার ভৌমিক বলেন, আমাদের অনুরোধে মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে ১ ফেব্রুয়ারি ওই তিন কর্মকর্তার নামের তালিকা আমাদেরকে পাঠিয়েছেন। ইতোমধ্যে তারা আমাদের তদন্ত কাজে সহযোগিতা করছেন।
ইতোপূর্বে, গত ২৬ জানুয়ারি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে এবং ১০কার্যদিবস সময় দিয়ে জেব্রা মৃত্যুর কারণ উৎঘাটনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কাজ ওই সময়ে শেষ না হওয়ার তার মেয়াদ (১০কর্মদিবস) বৃদ্ধি ও এ তদন্ত কমিটিতে আরো তিন সদস্যকে কো—অপ্ট করা হয়েছে।
এ তদন্ত কমিটির নতুন সদস্যরা হলেন— বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি অনুষদের অধ্যাপক মো. আবু হাদী নূর আলী খান, কেন্দ্রীয় রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগারের (সিডিআইএল) প্রধান গোলাম আজম চৌধুরী ও জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) অঞ্জন কুমার সরকার ।
গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে গত ২ জানুয়ারি ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ৯টি এবং ২৯ জানুয়ারি আরো ২টি জেব্রা মারা যায়। এছাড়াও সেখানে একটি বাঘ ও সিংহীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।