সারা দেশের ২০টি জেলার ২৪ উপজেলার ১৩৮টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) সপ্তম ধাপে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে।
এগুলোর মধ্যে ৯টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং বাকি ১২৯টিতে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ইসি।
ইসির যুগ্ম সচিব ও জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান বলেন, সপ্তম ধাপের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার জন্য নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হয়েছে। এছাড়া মোটরসাইকেল, ট্রাক ও পিকআপ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকছে। তবে নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত ও জরুরি সেবার সব ধরনের যান চলাচল করতে পারবে।
ইসি থেকে পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, নির্বাচন উপলক্ষে ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২২ জন সদস্য মোতায়েন থাকবে। প্রতি ইউনিয়নে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে একটি মোবাইল ফোর্স থাকবে। প্রতি তিনটি ইউনিয়নে তাদের সমন্বয়ে স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। এছাড়া র্যাবের সমন্বয়ে প্রতি উপজেলায় মোবাইল টিম দুইটি এবং একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। বিজিবির সমন্বয়ে প্রতি উপজেলায় মোবাইল টিম দুইটি এবং একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। এছাড়া উপকূলীয় এলাকায় কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে দুইটি মোবাইল টিম একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। ১ হাজার ৩৫০টি ভোটকেন্দ্রের ৭ হাজার ৮৫টি ভোট কক্ষে ২৪ লাখ ৫১ হাজার ৭৮২ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১২ লাখ ৫৭ হাজার ৫৮৬ জন, নারী ভোটার ১১ লাখ ৯৪ হাজার ২২৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের তিনজন ভোটার রয়েছেন।
ইসি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পরদিন থেকে নির্বাচন সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত প্রতি উপজেলা একজন এবং ভোটগ্রহণের পূর্বের দুই দিন, ভোট গ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরের দিন অর্থাৎ মোট চার দিনের জন্য প্রতি ইউনিয়নে কমপক্ষে একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের নির্দেশনা রয়েছে। এছাড়া স্থানীয় চাহিদা ও বাস্তবতার আলোকে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য মাঠ পর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সপ্তম ধাপে ৭১ জন প্রার্থী বিনা-ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১১ জন, সংরক্ষিত পদে ১৩ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে রয়েছেন ৪৭ জন। চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত নারী সদস্য ও সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন ৫ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭৬ জন, সংরক্ষিত পদে এক হাজার ২৩৬ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৪ হাজার ৬২ জন রয়েছেন।
উল্লেখ্য, অষ্টম ও শেষ ধাপে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি আটটি ইউপিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।