খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় খুব শিগগিরই মতামত জানাবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে একটি বেসরকারি হোটেলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
খালেদা জিয়ার অন্যান্য বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত দ্রুত জানানো হলেও বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে দীর্ঘদিন কেন মতামত দেওয়া হচ্ছে না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি শিগগির আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত দিয়ে দেবো।’
মতামতের ক্ষেত্রে মানবিক বিবেচনার সুযোগ রয়েছে কি না, সে বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমার কাছে এটা আইনের দিক দিয়ে দেখতে হবে। কারণ সরকার যখন কোনো পদক্ষেপ নেবে, সেটা অবশ্যই আইনি পদক্ষেপ হতে হবে।
তিনি বলেন, এর আগে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এবং তার মানবিক পদক্ষেপে যেটা সিদ্ধান্ত ছিল তার অভিব্যক্তি হচ্ছে এই ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় তার দণ্ড স্থগিত রেখে তাকে মুক্তি দেওয়া।
আইনমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার যে লক্ষ্যে স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন গঠন করে দিয়েছেন, সেই লক্ষ্য সমুন্নত রাখতে হবে।
তিনি বলেন, দুর্ভাগ্য যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৯৬ সালের ৩০ মার্চ পর্যন্ত আমরা মানবাধিকারকে ভুলুণ্ঠিত করতে দেখেছি। সেই দুঃখজনক অভিজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ আইন প্রণয়ন করে মানবাধিকার রক্ষার জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গঠন করেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে মূলত মানবাধিকার রক্ষার চর্চা শুরু হয় সেই থেকে। তারপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আন্তরিক সহযোগিতায় এ কমিশনের অগ্রযাত্রা ঘটতে থাকে। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও রক্ষার ব্যাপারে দেশ অনেকটা অগ্রসর হয়েছে। কিন্তু আরও অনেক দূর আমাদের যেতে হবে।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগ মানবাধিকার রক্ষার জন্য পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশনের মাধ্যমে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। এ বিষয়ে আনিসুল হক আশান্বিত হয়েছেন বলে জানান।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমান, কমিশনের সচিব নারায়ণ চন্দ্র সরকার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।