করোনাভাইয়াসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকাফেরত সাতজনের বাড়িতে লাল পতাকা টাঙানো হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা প্রত্যেকের বাড়িতে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেন। এরপর তাদের প্রত্যেককে হোম কেয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৬ থেকে ২৪ নভেম্বরের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সাতজন বাংলাদেশি নাগরিক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসেন। এরা হলেন- কসবা উপজেলার খাড়েরা গ্রামের আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, তার স্ত্রী তাহেরা আক্তার, তাদের শিশু কন্যা আলীশা, একই উপজেলার সৈয়দাবাদ গ্রামের লোকমান মিয়া, আল আমিন, নবীনগর উপজেলার সীকানীকা গ্রামের রাজু সরকার এবং বাঞ্ছারামপুর উপজেলার খোশকান্দি গ্রামের আতিকুর রহমান।
দক্ষিণ আফ্রিকাফেরত আলমগীরের বড় ভাই সালেহ আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, ওমিক্রনের বিষয়ে সতর্কতা হিসেবে বাড়িতে আসার পর থেকে আলমগীর বাড়ির বাইরে বের হয়নি। সে ঘরের মধ্যেও মাস্ক পরে সতর্ক অবস্থায় চলাফেরা করছে।
এর আগে গতকাল সোমবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির জরুরি সভায় দক্ষিণ আফ্রিকাফেরত ওই সাতজনের বাড়িতে লাল পতাকা টাঙানোর সিদ্ধান্ত হয়।
কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অরুপ পাল জানান, সামাজিক সংক্রমণ রোধে দক্ষিণ আফ্রিকাফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় তাদের শরীরে কোনো উপসর্গ থাকলে নমুনা সংগ্রহ করা হবে। করোনা শনাক্ত হলে আইসোলেশনে রাখা হবে।