চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় বুধবার (১৩ অক্টোবর) রাতে পুলিশ-জনতা সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় দুই হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। হাজীগঞ্জ থানায় হামলা ও পুলিশের আহতের ঘটনায় পুলিশ ২টি মামলা করে।
এ ছাড়া রাজারগাঁও ইউনিয়নের মুকন্দসার গ্রামে হামলার ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ-ফরিদগঞ্জ সার্কেল) মো. সোহেল মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, হাজীগঞ্জ উপজেলায় মোট ১২টি পূজামণ্ডপ ভাঙচুর হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে দুটি ও মন্দির ভাঙার দায়ে মন্দির কর্তৃপক্ষে একটি মামলা করেছে। এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে জনতা-পুলিশের সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ জানান, বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আসামিদের শনাক্ত করা হচ্ছে। অন্যায়ভাবে কাউকে আটক করা হবে না।
বুধবার রাতে হাজীগঞ্জ বাজারে পুলিশ ও জনতার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত আল আমিন, শামীম ও হৃদয়ের দাফন হাজীগঞ্জের নিজ নিজ গ্রামে সম্পন্ন হয়েছে এবং নির্মাণশ্রমিক বাবলুর মরদেহ গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সুন্দরগঞ্জ ভাগডাঙ্গায় নেওয়া হয়েছে।