<< স্কুল-কলেজে সপ্তাহে একদিন ক্লাস করার পরিকল্পনা

করোনা মহামারির প্রকোপ কমতে থাকায় সশরীরে স্কুল কলেজে ক্লাস চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সুনির্দিষ্ট তারিখে স্কুল-কলেজ খোলার পর প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে একদিন ক্লাস করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি কেয়ার উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপমন্ত্রী এ কথা বলেন।

শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক চাপের সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষাখাতে বেশ ক্ষতি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় অনলাইনে, অফলাইনে ও টেলিভিশনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখার চেষ্টা করেছি। প্রাথমিক, নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষাসহ সব পর্যায়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু এটা যথেষ্ট নয়।

নওফেল বলেন, আমরা আশা করছি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী যে সুনির্দিষ্ট তারিখ দিয়েছেন তারপর থেকে শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে ক্লাস শুরু করতে পারব। প্রাথমিকভাবে একদিন করে ক্লাস নেওয়ার চিন্তা ভাবনা করছি। আপাতত এটাই আমাদের পরিকল্পনা। তবে সেটা পরিবর্তন হতে পারে। এজন্য সর্বশেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের আরও বেশিদিন ক্লাসে আনতে পারব বলে আশা করি।

তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে প্রাথমিকভাবে আমাদের চিন্তা হচ্ছে, করোনার সংক্রমণ হার নিয়ন্ত্রণে রাখা। সংক্রমণ হার এখন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে। স্বাস্থ্য খাতের ওপর তেমন চাপ পড়ছে না।

মন্ত্রী বলেন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে শারীরিক উপস্থিতির মধ্যে নেওয়ার যে প্রচেষ্টা আছে সেটা অব্যাহত থাকবে। এটাই আমাদের আপাতত লক্ষ্য। অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই চলবে। আমরা নতুন সিলেবাস প্রণয়নের রূপরেখা দাঁড় করিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করার পরপরই নতুন সিলেবাস বাস্তবায়ন করতে পারব।

১৮ বছরের নিচে শিক্ষার্থীরা পাবে ফাইজার-মডার্নার টিকা

এদিকে ১৮ বছরের নিচে শিক্ষার্থীদের ফাইজার এবং মডার্নার টিকা দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কোর্সে কম্প্রেহেনসিভ পরীক্ষায় তেজগাঁওয়ের একটি কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ১৮ বছরের ওপরে যে কোনো টিকা দেওয়া যাবে। ১৮ বছরের নিচে হলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও অন্যান্য দেশের নির্দেশনা দেখে ফাইজার ও মডার্নার টিকা দেওয়া হতে পারে।

তিনি বলেন, কীভাবে শিশুদের টিকা দেওয়া যাবে সে বিষয়ে  আগামীকাল (৫ সেপ্টেম্বর) আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে।

তিনি বলেন, ১২ বছরের বেশি হলে অন্যান্য দেশে যেভাবে দেওয়া হচ্ছে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনে শিশুদের ফাইজার এবং মডার্নার টিকা দেওয়া হচ্ছে। আমরাও এটি অনুসরণ করতে পারি।

ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় ডোজের টিকা মজুত আছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে যাদের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে তাদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। প্রথম ডোজ যে কেন্দ্র দেওয়া হয়েছে, দ্বিতীয় ডোজও একই কেন্দ্রে নিতে হবে। গ্রামের টিকা নেওয়ার জন্য মানুষের আগ্রহ কম ছিল, আমরা তাদের অনুপ্রাণিত করতেই এ কর্মসূচি হাতে নিয়েছেলাম।

মন্ত্রী বলেন, টিকা পাওয়ার ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে বাকিদেরও টিকা নিশ্চিত করা হবে। চীনের সঙ্গে নতুন করে ছয় কোটি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে সাড়ে ১০ কোটি টিকা চাহিদা দেওয়া হয়েছে। আগামী বছরের জানুয়ারি নাগাদ এসব টিকা পাওয়ার আশা করা হচ্ছে। এ সাড়ে ১৬ কোটি টিকা পেলে সংকট কেটে যাবে।