ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমনির সঙ্গে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) গোলাম সাকলায়েন শিথিলের ‘সম্পর্ক’ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। রোববার পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগ) মো. সোহেল রানা কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এআইজি সোহেল রানা বলেন, তিন সদস্যের কমিটিতে পুলিশ সদর দপ্তর, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও সিআইডির একজন করে কর্মকর্তা রাখা হয়েছে। এই কমিটিকে ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
কমিটির সদস্যরা হলেন- পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (ট্রেনিং) মাসুদ করিম, উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার হামিদা পারভীন এবং সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের রুমানা আক্তার।
গত বুধবার বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, ভয়ংকর মাদক এলএসডি ও আইসসহ র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন নায়িকা পরীমনি। এরপরই সাকলাইনের সঙ্গে পরীমনির প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি সামনে আসে।
গত জুন মাসে পরীমনি সাভারের বোটক্লাবে ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছেন অভিযোগ করার পর যে মামলা হয়েছিল, সেটির তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন সাকলায়েন। তদারকি করতে গিয়ে দুজনের মধ্যে শুরু হয় যোগাযোগ। নিয়মিত পরীমনির বাসায় যাতায়াত শুরু করেন ডিবি কর্মকর্তা। মাঝে-মধ্যে গাড়ি নিয়েও বের হতেন দুজনে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্যানুযায়ী, সবশেষ পরীমনি ডিবির কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েন শিথিলের রাজারবাগের মধুমতি ভবনের বাসায় গিয়ে প্রায় ১৮ ঘণ্টা অবস্থান করেন। ৪ আগস্ট রাতে গ্রেপ্তারের পর পরীমনি তাদের দুজনের সম্পর্ক থেকে শুরু করে সবকিছু স্বীকার করেছেন। এমন অভিযোগের পরেই ডিবির সব কার্যক্রম থেকে সাকলাইনকে নিবৃত্ত করা হয়। বদলি করে দেয়া হয় ডিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) পশ্চিম বিভাগে।
পরীমনিকে গ্রেপ্তারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে গোয়েন্দা কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েন শিথিলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ফাঁস হয়। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত রাজারবাগের মধুমতি বাসভবনের কেয়ারটেকার শামীমকে সিসিটিভি ফুটেজের ডিভিআরসহ পুলিশ সদরদপ্তরে ডেকে পাঠান। ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পরীমনির বক্তব্যের সত্যতা পান।
জানা গেছে, সাকলায়েন বিবাহিত এবং তার স্ত্রী প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। তাদের একটি সন্তানও রয়েছে।