<< বরিশালে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে বরিশাল বিভাগে সর্বোচ্চ ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনায় ১৫ জন ও উপসর্গ নিয়ে ১৭ জন মারা গেছেন। একই সময়ে সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৮৫৮ জন। বৃহস্পতিবার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ১৭ জন ও করোনা ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।

এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ১৫ জনের মধ্যে বরিশালে চারজন, ভোলায় তিনজন, পিরোজপুরে একজন, বরগুনার চারজন ও ঝালকাঠিতে তিনজন রয়েছেন। সব মিলিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫১৪ জনে।

একই সময় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫৮ জন। এ নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬ হাজার ৯৯৮ জনে। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ হাজার ১৭০ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল জেলায় নতুন ৩৩৫ জন নিয়ে ১৫ হাজার ৩৩২ জন, পটুয়াখালীতে নতুন ১৮২ জন নিয়ে পাঁচ হাজার চারজন, ভোলায় নতুন ১৭৬ জন নিয়ে চার হাজার ৫৮৭ জন, পিরোজপুরে নতুন ৭৪ জন নিয়ে চার হাজার ৬৩৮ জন, বরগুনায় নতুন ৬৪ জন নিয়ে তিন হাজার ২০০ জন ও ঝালকাঠিতে নতুন ২৭ জন নিয়ে চার হাজার ২৩৭ জন রয়েছেন।

শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকের দফতর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধু বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ১৭ জন ও করোনা ওয়ার্ডে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে শুধু শেবাচিম হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডেই উপসর্গ নিয়ে ৮৩১ জন ও করোনা ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৮৩১ জনের মধ্যে ৭৭ জনের কোভিড টেস্টের রিপোর্ট এখনও হাতে পাওয়া যায়নি।

হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ২৯ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ১২ জন ভর্তি হয়েছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ৩৪৩ জন চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ১২০ জন করোনা ওয়ার্ডে ও ২২৩ জন আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। আরটি পিসিআর ল্যাবে ১৮৯ জন করোনা পরীক্ষা করান। এর মধ্যে ৪৮ দশমিক ১৪ শতাংশ করোনা শনাক্তের হার।