সকল ইউনিয়নে টিকাকেন্দ্রে স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মঙ্গলবার দুপুরে করোনা সংক্রমণ রোধে করনীয় নির্ধারণে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনা সংক্রমিত বিশ্বের অনেক দেশে টিকা দেওয়ার কারণে সেসব দেশে সংক্রমণ কমেছে। এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সংক্রমণও টিকা দেওয়ার কারণে কমেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, দেশের সকলকে টিকার আওতায় আনার। সে লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদকে টিকা কেন্দ্র করা হবে। সেখানে ৫০ বছর বা তার বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
‘১৮ বছরের বেশি সকল নাগরিক টিকা নিতে পারবেন। কেবলমাত্র জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে। তবে বয়স হয়েছে কিন্তু ভোটার আইডি কার্ড নেই তাদের ক্ষেত্রেও বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে যে পরিমাণ টিকার ডোজ রয়েছে তা দিয়েই শুরু করা হচ্ছে। তারপর আরও আসতে থাকবে এবং কার্যক্রম চালবে।
বৈঠকের সভাপতি স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, করোনার সংক্রমণ রোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই বিধিনিষেধ আগামী ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে। এ সময় শিল্পকারখানা বন্ধ রয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৫ আগস্টের আগে শিল্পকারখা খোলা যায় কি না সে বিষয়ে শিল্পপতিসহ অনেকেই সরকারকে অনুরোধ করেছেন। কিন্তু এই অনুরোধ সম্ভবত রাখতে পারছি না।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আগামী ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। সেখানে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্ম নিবন্ধন কার্ড নিয়ে গেলেই টিকা দেওয়া যাবে। যাদের এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধন কার্ড নেই তাদেরও কিভাবে টিকার আওতায় আনা যায় সেটা আমরা ভেবে দেখছি।
ভবিষ্যতে ওয়ার্ড পর্যায়েও টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, পুলিশ প্রধান, বিজিবি প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট দফতর ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।