<< জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ

জিম্বাবুয়েকে ৫ উইকেটে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের দেওয়া ২৯৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারের আগে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্ধরে পৌছে যায় বাংলাদেশ। যার ফলে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যাধানে জিতলো তামিম ইকবালরা। আর এই জয়ে আইসিসি সুপার লিগে ৮০ পয়েন্ট নিয়ে নিজের অবস্থান শক্তিশালী করলো বাংলাদেশ। পাশাপাশি জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে ৫০তম জয় পেয়েছে বাংলাদেশের। ৭৭ ম্যাচে বাংলাদেশে জিতেছে ৫০টি ম্যাচে।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা শুভ সূচনা করে অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। এই দুই ব্যাটসম্যান ৮৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন। তবে লিটন ৩২ রানের বেশি করতে পারেননি। মাধভেরের বল সুইপ করতে গিয়ে ফাইন লেগে ক্যাচ দেন। তামিমের নতুন সঙ্গী হিসাবে মাঠে নামে সাকিব। এর আগে নিজের ক্যারিয়ারের ৫২তম ফিফটি করেন তামিম।

এরপর তামিম ও সাকিবের জুটিতে এগুতে থাকে বাংলাদেশের রান। বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে যেভাবে ব্যাটিং করার প্রয়োজন ঠিক সেভাবেই ব্যাটিং করেন তারা। কিন্তু ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ ছিলো সাকিব। তামিমের সঙ্গে ৬৮ বলে ৫৯ রানের জুটি গড়ে সাকিব ফিরলেন সাজঘরে। জুটিতে তার অবদান ৩০ রান।

সাকিব ফিরে গেলেও তামিমের ব্যাট থামেনি। তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ১৪তম সেঞ্চুরি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে যা চতুর্থ। ৮৭ বলে সেঞ্চুরিতে পৌঁছেছেন তামিম। ওয়ানডেতে এটি তার দ্রুততম সেঞ্চুরি। এর আগে ২০১০ সালে ৯৪ বলে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেঞ্চুরির পর বেশীক্ষণ মাঠে থাকতে পারেনি তামিম ইকবাল। পেসার টিরিপানোর অফস্টাম্পের বাইরের বল খোঁচা মারতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তামিম। পুরো ইনিংসে দুর্দান্ত ব্যা টিং করা তামিম মনোযোগ হারিয়ে আলগা শট খেললেন। ৯৭ বলে ১১২ রান করে তামিম ফেরেন সাজঘরে। তামিম পরেই ডাক মেরে সাজঘরে ফিরেন মাহামুদুল্লাহ।

এরপর মোহাম্মদ মিঠুন ও কাজী নুরুল হাসান সোহানের দারুণ ব্যাটিং বাংলাদেশের রানের চাকা ফের সচল হয় তবে মোহাম্মদ মিঠুন ৫৭ বলে ৩০ রান করে ফিরে গেলে আবারো চাপে পরে বাংলাদেশ। সেই খান থেকে বাংলাদেশকে জয়ের বন্ধরে পৌছায় নুরুল হাসান সোহান ও আফিফ হোসেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ৩০২/৫ (৪৮ ওভার)।

টার্গেট:২৯৯।

ফলাফল: বাংলাদেশ ৫ উইকেটে জয়ী

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মোহাম্মদ মিঠুন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, কাজী নুরুর হাসান সোহান, সাইফ উদ্দিন, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: ব্রেন্ডন টেইলর (অধিনায়ক), সিকান্দার রাজা, রেগিস চাকাবা, টেন্ডাই চাতারা, লুক জংওয়ে, ওয়েসলি মাধেভেরে, তিনেশে কামুনহুকম্বে, তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ব্লেসিং মুজারাবানি, ডিয়ন মায়ার্স, রিচার্ড নাগারাবা।