বর্তমানে বিশ্বের প্রতি ৪ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের একজন একাকিত্বে ভুগছেন। এসব দেশের ১০০ কোটির বেশি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ একাকিত্বে ভুগছেন যার বেশির ভাগই তরুণ। এর পরিসংখ্যান আরও বেশি হতে পারে, কারণ জরিপটি বিশ্বের ৭৭ ভাগ প্রাপ্তবয়স্কদের ওপর চালানো হয়েছে এবং জনসংখ্যায় দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ চীন এর বাইরে ছিল।
সম্প্রতি বিশ্বের ১৪২টি দেশের মানষের উপর গবেষণা চালিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্যালপ। এই গবেষণায় গ্যালপকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছে মেটা।
একাকিত্ব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সতর্কবার্তা দিয়ে আসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), বিভিন্ন চিকিৎসাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যেই একাকিত্বের এই তথ্য পাওয়া গেল। কোন দেশে কত মানুষ একা আছেন, সেই তথ্য বিভিন্ন দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে গ্যালপ।
তবে এই জরিপে একটি ইতিবাচক তথ্যও উঠে এসেছে। এতে বলা হয়, ৬৫ কিংবা তার বেশি বয়সীদের মধ্যে একাকিত্বে থাকার হার আগের চেয়ে কমেছে। আগের চেয়ে এই সংখ্যা কমেছে ১৭ শতাংশ। সবার ধারণা, বয়স্কদের মধ্যে একাকিত্ব বেশি। কিন্তু এটি ঠিক নয়।
জরিপের সবচেয়ে হতাশাজনক তথ্য হচ্ছে, একাকিত্বে থাকা বেশির ভাগই তরুণ, যাদের বয়স ১৯ থেকে ২৯ এর মধ্যে। আর এদের মধ্যে ২৭ শতাংশের একাকিত্বের মাত্রা অনেক বেশি ও শঙ্কাজনক। একাকিত্বের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষভেদে মাত্রায় তেমন বড় পার্থক্য নেই। তবে দেশভেদে এই পার্থক্য রয়েছে।
একাকিত্বের বেশ কয়েকটি কারণ জানতে পেরেছে গ্যালপ। এর মধ্যে রয়েছে মানসিক ও শারীরিক অবস্থা। এই কারণেই বেশির ভাগ মানুষ নিজেকে একা অনুভব করেন। বিশেষ করে মানসিক হতাশার সময়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এজওয়েল নামের এক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা হিমাংশু রথ বলেন, একাকিত্ব কোনো সাধারণ বিষয় নয়। এটি মহামারিতে পরিণত হতে পারে যেকোনো সময়। তাই একাকিত্বকে জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবেও বিবেচনা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এ ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত উপদেষ্টা কমিটিও গঠন করা হয়েছে।