মধু আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ঠান্ডা কাশির সমস্যা থেকে শুরু করে শ্বাসকষ্ট নিরাময়ে এর অবদান আছে। তা ছাড়া চিনির পরিবর্তে মধু খেলে বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলা যায়।
তবে, বাজারে খাঁটি মধুর পাশাপাশি ভেজাল মধুর ছড়াছড়ি। সেখান থেকে খাঁটি মধু বাছাই করা যথেষ্ট কঠিন। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে খাঁটি মধু চেনার কিছু উপায়। চলুন দেখে নেই।
ঘনত্ব পরীক্ষা
খাঁটি মধু সাধারণত ঘন হয়। বৃদ্ধাঙ্গুলে সামান্য মধু নিয়ে ঘনত্ব পরীক্ষা করা যায়। এক ফোঁটা মধু আঙুলে নিয়ে দেখুন, সেটা লেগে থাকছে নাকি গড়িয়ে পড়ছে। খাঁটি মধু আঙুলে আঠার মতো লেগে থাকবে আর ভেজাল মধু গড়িয়ে পড়বে।
গ্লাস পরীক্ষা
এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চামচ মধু নিন। মধু ভেজাল হলে তা খুব সহজে পানির সঙ্গে মিশে যাবে। খাঁটি মধু হলে সেটা মিশবে না, বরং গ্লাসের নিচে গিয়ে জমা হবে।
ম্যাচকাঠি পরীক্ষা
একটি ম্যাচের কাঠির মাথায় মধু মাখিয়ে নিন। এবার সেটাকে ম্যাচবাক্সে ঘষা দিয়ে আগুন জ্বালানোর চেষ্টা করুন। যদি জ্বলে তবে আপনার মধু খাঁটি। না জ্বললে সেটা ভেজাল। খাঁটি মধুতে পানি থাকে না বললেই চলে। সে কারণে খাঁটি মধুতে ডোবালে ম্যাচকাঠির বারুদ ভিজে নষ্ট হয়ে যায় না। অন্যদিকে ভেজাল মধুতে পানি থাকে এবং তাতে ম্যাচকাঠি ডোবালে বারুদ ভিজে নষ্ট হয়ে যায়।
ভিনেগার পরীক্ষা
এক চা চামচ মধুতে সামান্য পানি এবং ২-৩ ফোঁটা ভিনেগার দিয়ে নাড়ুন। যদি ফেনা তৈরি হয় তাহলে আপনার মধুটি ভেজাল হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি।
তাপ পরীক্ষা
একটি পাত্রে মধু নিন। এবার সেটাকে অল্প আঁচে চুলায় জ্বাল দিন। বিশুদ্ধ ও খাঁটি মধু ক্যারামেলের মতো হতে শুরু করবে, কিন্তু ফেনা তৈরি হবে না। অন্যদিকে ভেজাল মধু জ্বাল দিলে বুদ্বুদের মতো ফোম তৈরি করবে এবং মাঝে ফেনা দেখা যাবে। আবার চিনি মেশানো মধুতে তাপ দিলে মধু সম্পূর্ণ তরল হবে না, চিনির দানা দেখা যাবে।