যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেন আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। আগ্নেয়াস্ত্র সংক্রান্ত তিনটি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে দেশটির একটি আদালত। এই রায়ের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, ‘রায় যাই হোক মেনে নেবো।’
মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়্যারের একটি আদালত দীর্ঘ এক সপ্তাহ ধরে চলা এ ফৌজদারি মামলার শুনানির পর হান্টারকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেন। খবর সিএনএন, পলিটিকো ও বিবিসি।
বাইডেনপুত্রের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ— আগ্নেয়াস্ত্র কেনার সময় তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। দ্বিতীয় অভিযোগ, অস্ত্র বিক্রেতার নথিপত্রেও মিথ্যা তথ্য থাকার বন্দোবস্ত করেছেন। তৃতীয় অভিযোগ হলো, হান্টার বাইডেন অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র নিজের কাছে রেখেছিলেন।
এসব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় হান্টার বাইডেনের সর্বোচ্চ ২৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। এর মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র কেনার সময় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার জন্য তার সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। এছাড়া অস্ত্র বিক্রেতার নথিতে মিথ্যা তথ্য সন্নিবেশের অপরাধে সর্বোচ্চ ৫ বছর এবং মাদকাসক্ত অবস্থায় অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র রাখায় তার সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
ডেলাওয়ারের সরকারি কৌঁসুলিদের অভিযোগ, ২০১৮ সালে একটি হ্যান্ডগান কিনেছিলেন হান্টার বাইডেন। সেই অস্ত্র কেনার সময় তিনি নিজের মাদকাসক্তি নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন।
গত শুক্রবার (৭ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের পক্ষে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন মেয়ে নাওমি বাইডেন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাক্ষ্য নেননি আদালত।
২০১৫ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান হান্টারের বড় ভাই বিউ বাইডেন। হান্টার বাইডেন তার আত্মজীবনী ‘বিউটিফুল থিংস’-এ লিখেছেন, ভাইয়ের মৃত্যুর পর তিনি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। তবে ২০১৯ সালে হান্টার মাদক ছাড়েন।
যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, দেশটির নাগরিকদের অস্ত্র কেনার অধিকার রয়েছে। কিন্তু অস্ত্র কেনার সময় একজন ব্যক্তিকে আবেদনপত্রে অবশ্যই এটা উল্লেখ করতে হবে যে তিনি মাদকে আসক্ত কি না। সেক্ষেত্রে হান্ডার বাইডেন তা উল্লেখ করেননি।