চীনের সঙ্গে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে চরম দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে ভারত। বিগত কয়েক বছর ধরে সীমান্ত জটিলতায় দুদেশের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। আর সম্প্রতি বেজিংয়ের প্রকাশিত মানচিত্রে ঠোকাঠুকি আরও বেড়ে গেছে। এসবের মধ্যেই বড় মহড়া করতে চলেছে ভারতীয় বিমান বাহিনী।
হিন্দুস্থান টাইমসের খবরে বলা হয়, যুদ্ধবিমান, যাত্রী ও মালবাহী বিমান এবং হেলিকপ্টারসহ পূর্ণাঙ্গ একটি অনুশীলন মহড়া করতে যাচ্ছে ভারতীয় বিমান বাহিনী। পশ্চিম এয়ার কমান্ড এই মহড়া চালাবে আগামী ৪ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ত্রিশূল’। উল্লেখ্য, পশ্চিম কমান্ডের এয়ার বেস রয়েছে পঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীরের পাশাপাশি লাদাখেও।
এর আগে লাদাখে চীনের আগ্রাসন রোখার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছিল ভারতীয় বিমান বাহিনীর ওয়েস্টার্ন কমান্ড।
এদিকে এই মহড়া এমন এক সময় শুরু হবে যখন দিল্লিতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন (৯-১০ সেপ্টেম্বর) চলবে। চীনা মানচিত্র বিতর্কের পর অবশ্য এই সম্মেলনে যোগ দিতে আসবেন না দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এসময় ভারতের এই মহড়া বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করা হচ্ছে।
জানা গেছে, এই দশ দিনের অনুশীলনে সুখোই-৩০, মিগ ২৯ ও রাফাল যুদ্ধবিমান উড়তে চলেছে ভারতের আকাশে। এছাড়াও সি-১৭, আইএল-৭৬, সি ১৩০ জে, এএন ৩২-এর মতো পরিবহণ বিমানও আকাশে উড়বে মহড়া অংশ হিসেবে। এছাড়া চিনুক হেলিকপ্টারও সামিল হবে অনুশীলনে। বিমান বাহিনীর গার্ড কমান্ডোরাও অংশ নেবেন এই মহড়ায়।
সম্প্রতি উপগ্রহ মানচিত্রে দেখা গেয়েছে, আকসাই চীন এলাকায় মাটির নীচে বাঙ্কার তৈরি করেছে দেশটির সেনারা। মাটির নীচে আরও বেশ কিছু সামরিক স্থাপত্য গড়ে তুলেছে তারা। কোনও মিসাইল হামলার ক্ষেত্রে যেন তাদের সামরিক পরিকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য এই ব্যবস্থা নিয়েছে চীন। তবে হামলা করবে কে? ভারত চিরকালই শান্তির বার্তা দিয়ে এসেছে। হামলা না হলে নিজে থেকে আক্রমণ করবে না ভারত।
আকসাই চীনে এই আন্ডাগ্রাউন্ড বাঙ্কারের খবর এমন একটি সময় প্রকাশ্যে এসেছে, যখন দেশটির স্ট্যান্ডার্ড মানচিত্র নিয়ে নতুন করে রেশারেশি শুরু হয়েছে দুদেশের মধ্যে। গত সোমবার প্রকাশিত চীনা মানচিত্রে অরুণাচলপ্রদেশ এবং লাদাখকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করেছে চীন। এতে আপত্তিও জানিয়েছে ভারত।
ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, কেউ মানচিত্রে ভুলভাল দাবি করলেই সেই জমি তাদের হয়ে যায় না। তবে ইতোমধ্যে আকসাই চীনে গতিবিধি বাড়িয়েছে পিএলএ। প্রায় ১৫ বর্গ কিলোমিটর জুড়ে ৬টি জায়গায় গড়ে উঠেছে এই বাঙ্কার।