<< পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সৌদিকে চীনের প্রস্তাব

পারমাণবিক  বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে  চীনের একটি প্রস্তাব  বিবেচনা করছে সৌদি আরব। পারমাণবিক বিদ্যুতের জন্য রিয়াদের উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্র সাড়া না দেওয়ায় হতাশা থেকে এই পথে হাঁটছে বিশ্বের বৃহত্তম তেল রফতানিকারক  দেশটি। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট)  মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে।

অজ্ঞাত সৌদি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে  মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি লিখেছে, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সীমান্তের কাছে  সৌদি আরবে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি চায়না ন্যাশনাল নিউক্লিয়ার করপোরেশন (সিএনএনসি)।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি কর্মকর্তারা আশা করছেন চীনের প্রস্তাবের ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বা নিজস্ব ইউরেনিয়াম মজুত না করার প্রতিশ্রুতিসহ রিয়াদের নতুন পারমাণবিক শিল্পকে সহায়তা করার শর্তগুলো শিথিল করতে চাপ দেবে। চীন রিয়াদকে এই ধরনের প্রয়োজনীয়তা মেনে চলার জন্য  হয়ত বাধ্য করবে না। পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধ করার উদ্দেশ্যে এসব শর্তারোপ করেছে মার্কিন প্রশাসন।

সিএনএনসি এবং চীন ও সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মন্তব্যের অনুরোধের সাড়া দেয়নি। সৌদি আরব ও চীন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাদের সম্পর্ক গভীর করেছে। এতে ওয়াশিংটনে উদ্বেগ বেড়েছ।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গত বছর ডিসেম্বরে সৌদি আরব সফর করেছিলেন। দুই দেশ জুন মাসে রিয়াদে দুই দিনের আরব-চীন বাণিজ্যিক সম্মেলনে ১০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ চুক্তি ঘোষণা করেছিল।

চীন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রযুক্তি বিদেশে রফতানির চেষ্টা করছে। ২০১৯ সালে এক সিনিয়র চীনা কর্মকর্তা বলেছিলেন, বেইজিং পরবর্তী দশকে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ অবকাঠামোগত উন্নয়নের  মাধ্যমে ৩০টি বিদেশি পারমাণবিক চুল্লি তৈরি করতে পারে।

মধ্যপ্রাচ্যে নিজের কূটনৈতিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে চীন। চলতি বছরের শুরুর দিকে একটি চুক্তির মধ্যস্থতা করে দেশটি, যার মাধ্যমে বহু বছরের শত্রুতার পর সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়।

সৌদি আরব বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম তেল উৎপাদক। জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে কয়েক বছর ধরে একটি দেশীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ শিল্পের বিকাশের পথ খুঁজছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মতে, দেশটি তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে নিজেদের বিদ্যুতের পূরণে সক্ষম।

সূত্র: আল জাজিরা