চলমান সামরিক অভিযানের মধ্যে ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ বৃদ্ধির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসকে সতর্ক করে দিয়ে রুশ এই নেতা বলেছেন, এটি ইউক্রেনকে আরও অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
ইউরোপের এই দুই দেশের দুই শীর্ষ নেতার সঙ্গে ফোনালাপে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। রোববার (২৯ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
রুশ প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও কার্যালয় ক্রেমলিন জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট পুতিন শনিবার ফরাসি ও জার্মান নেতাদের সাথে একটি ত্রিমুখী টেলিফোন আলাপের সময় এই মন্তব্য করেন। ফোনালাপে ইউক্রেনে পশ্চিমা অস্ত্রের ক্রমাগত স্থানান্তরের বিরুদ্ধে সতর্ক করার পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী খাদ্য সরবরাহের ব্যাঘাতের জন্য পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলোকে দায়ী করেন।
ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ অব্যাহত রাখা ‘বিপজ্জনক’ উল্লেখ করে ‘পরিস্থিতির আরও অস্থিতিশীলতা এবং মানবিক সংকট বৃদ্ধির ঝুঁকি সম্পর্কে’ ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও ওলাফ শলৎসকে প্রেসিডেন্ট পুতিন সতর্ক করেছেন বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন।
অন্যদিকে জার্মান চ্যান্সেলরের মুখপাত্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৮০ মিনিট দীর্ঘ এই ফোনালাপে ইউক্রেনে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও দেশটি থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে আহ্বান জানিয়েছেন ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং ওলাফ শলৎস।
জার্মান চ্যান্সেলরের ওই মুখপাত্র আরও বলেছেন, চলমান যুদ্ধের অবসানে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আন্তরিক ও সরাসরি আলোচনায় যুক্ত হতে পুতিনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে রাশিয়ার ভূখণ্ডে আঘাত হানতে পারে- এমন অস্ত্র ইউক্রেনকে সরবরাহ করার বিষয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। পশ্চিমাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধের উত্তেজনা বাড়াতে এটি হবে মারাত্মক একটি পদক্ষেপ।’
রাশিয়ার সামরিক অভিযান মোকাবিলায় এতদিন ইউক্রেনকে নানা ধরনের অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে আসছিল পশ্চিমারা। এ নিয়ে প্রথম থেকেই উদ্বেগ জানিয়ে আসছিল মস্কো।
রুশ বার্তাসংস্থা তাসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোর ‘বুদ্ধিমান লোকজন’ ইউক্রেনের অস্ত্রভাণ্ডার আরও বাড়ানোর বিপদ বুঝতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন।