করোনাভাইরাসের সবচেয়ে সংক্রামক ধরন হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে কাপড়ের মাস্কের সুরক্ষা নিয়ে বিশ্ববাসীকে সতর্কবার্তা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধ্যাপক ট্রিশ গ্রিনহালফ।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, যে হারে ও গতিতে ওমিক্রন ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে এক স্তরের কাপড়ের মাস্ক পরা এবং মাস্ক না পরার মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে একাধিক লেয়ারের মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে গ্রিনহালফ বলেন, ‘মাস্কের মূলত এক প্রাকার ছাঁকনি। বাতাসে ছড়িয়ে থাকা ভাইরাস যেন নাসারন্ধ্রের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়ক সুরক্ষা দেওয়াই এটির কাজ।
‘ওমিক্রন থেকে প্রাথমিক সুরক্ষা পেতে চাইলে অবশ্যই এক স্তরের কাপড়ের মাস্ক পরা বাদ দিতে হবে এবং ব্যবহার করতে হবে একাধিক স্তরের কাপড়ের মাস্ক। কোন কাপড়ের মাস্ক পরছেন, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। একাধিক স্তরবিশিষ্ট মিশ্র কাপড়ের মাস্ক ওমিক্রন থেকে অধিক সুরক্ষা দেয়।’
‘তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযোগী এন নাইন্টিফাইভ রেসপিরেটরি মাস্ক। বাতাসে ভাসমান যে কোনো জীবাণু থেকে এই মাস্কটি ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে সক্ষম।’
গত ২৪ নভেম্বর বিশ্ববাসীকে প্রথম করোনাভাইরাসে রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রনের তথ্য দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। অবশ্য এক গবেষণায় জানা গেছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় এই ধরনটির ব্যাপারে বিশ্বকে জানানোর ৫ দিন আগে, নেদারল্যান্ডসে এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ১০৬টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে সার্স-কোভ-২ বা করোনাভাইরাসের রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রন।
এদিকে, ওমিক্রনের ধাক্কায় যুক্তরাজ্যে একদিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে লাখের গণ্ডি। করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে বুধবারই প্রথম দেশটিতে রেকর্ডসংখ্যক এতো মানুষ সংক্রমিত হলেন।