শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়া। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ৭ দশমিক ৬ বলে জানিয়েছে মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস। ভূমিকম্পের প্রভাবে জারি করা হয়েছে সুনামি সতর্কতা।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা ২০ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। প্রাথমিকভাবে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া দফতরের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, মঙ্গলবার দেশটির পূর্ব নুসা তেংগারা অঞ্চলে শক্তিশালী এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তবে রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ৭ দশমিক ৫ ছিল বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া দফতর।
অন্যদিকে ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) বলছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭ এবং ভূ-পৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল ৫ কিলোমিটার (৩.১১ মাইল)।
ভূমিকম্পের পর মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস তাৎক্ষণিকভাবে রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ৭ দশমিক ৬ বলে জানালেও পরে তা সংশোধন করে ৭ দশমিক ৩ বলে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে ভূমিকম্পের পর আতঙ্কে মানুষ-জন বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন। ইন্দোনেশিয়ার ফ্লোরেস আইল্যান্ডের মাউমের শহরের বাসিন্দা অগাস্টিনাস ফ্লোরিয়ানাস রয়টার্সকে জানান, ভূমিকম্পের পর আতঙ্কে সবাই রাস্তায় বেরিয়ে এসেছিলেন।
এছাড়া ইন্দোনেশিয়ার মালাকু, পূর্ব নুসা তেংগারা, পশ্চিম নুসা তেংগারা অঞ্চলে এবং দক্ষিণ সুলাওয়েসি দ্বীপ ও এর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া দফতর বলছে, শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের পর লারানতুকা এলাকায় প্রথম আফটার শক (ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পন) অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬।
লারানতুকার পূর্ব ফ্লোরেস অঞ্চলের দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার প্রধান আলফোনস হাদা বাতেন জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের পর তাৎক্ষণিকভাবে এখনও কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। বেশ কয়েক মিনিট ধরে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয় এবং এসময় মানুষ তাদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে যান।
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ খুবই সাধারণ। চলতি ডিসেম্বর মাসের শুরুতে দেশটির জাভা দ্বীপে মাউন্ট সেমেরু আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাতের কারণে কমপক্ষে ৪৮ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। অগ্নুৎপাতের কারণে ধেয়ে আসা ছাইয়ের কুণ্ডলি ও লাভায় দগ্ধ হয়ে আহত হয়েছিলেন শত শত মানুষ।