ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখোমুখি হতে চলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা গত ছয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয় বৈঠক। একদিকে উত্তপ্ত ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের ওপর আঘাত অন্যদিকে, বিএসএফের কাজের সীমা বাড়ানোর বিতর্কিত কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত।
এই দুই ইস্যুতেই ভারতের রাজনীতি উত্তাল। অলিখিতভাবে যার নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নোট বাতিল থেকে সিএএ, কিংবা হালের কৃষি আইন— মোদি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে বাকি বিরোধী নেতানেত্রীদের অনেকটাই পেছনে ফেলেছেন তিনি।
ত্রিপুরা রাজ্যে সহিংসতা ও বিএসএফ ইস্যুর মধ্যে মোদির সঙ্গে তার বুধবারের বৈঠকের দিকেই নজর ভারতীয় রাজনৈতিক মহলের। মমতার ক্ষোভ, বিএএসএফের পরিধি বাড়িয়ে ঘুরপথে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার এখতিয়ারে হাত বাড়াতে চাইছে কেন্দ্র। এটা তারই প্রথম পদক্ষেপ।
অন্যদিকে, ত্রিপুরায় শক্তিশালী হয়ে ওঠা তৃণমূলকে ঠেকাতে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে বিজেপি। এই দুই উত্তপ্ত ইস্যুই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে নেত্রীর মূল এজেন্ডা। একইসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গকে আর্থিক বঞ্চনা ও রাজ্যের নাম বদলের সিদ্ধান্ত আটকে রাখার বিষয়েও মোদির হস্তক্ষেপ চাইবেন তিনি। ফলে, মোদি বনাম মমতার লড়াই তীব্র। মঙ্গলবারও তিনি স্পষ্ট বলেছেন, ‘বিজেপিকে হারানোই মূল লক্ষ্য।’
তবে, মুখ্যমন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক নিয়ে যাবতীয় কৌতূহলকে ছাপিয়ে যাচ্ছে মমতার একের পর এক রাজনৈতিক চমক। ত্রিপুরা ও গোয়ার পর এবার মমতার লক্ষ্য হরিয়ানা-বিহার। মঙ্গলবার একসঙ্গে ভারতের তিন শীর্ষ ব্যক্তি যোগ দিলেন তৃণমূলে। তার মধ্যে দুজনই কংগ্রেস নেতা। কীর্তি আজাদ ও অশোক তানওয়ার দুজনেই কংগ্রেসের। পাশাপাশি সংযুক্ত জনতা দলে একদা নীতীশ কুমারের বিশ্বস্ত পবন বর্মাও মমতার হাত ধরে যোগ দিলেন তৃণমূলে।