<< জাতিসংঘ অধিবেশনে বাগযুদ্ধে জড়ালো পাকিস্তান-ভারত

নিউইয়র্কে জাতিসংঘ অধিবেশনে বাগযুদ্ধে জড়িয়েছে পাকিস্তান ও ভারত। সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে শুক্রবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, ভারত তার দেশের ‘মুসলমানদের ওপর সন্ত্রাসের রাজত্ব’ কায়েম করেছে। এর জবাবে জাতিসংঘ মিশনে ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি স্নেহা দুবে বলেন, ‘পাকিস্তান যে জঙ্গিদের আশ্রয় দেয় এটা সবাই জানে। পাকিস্তান তাদের উঠোনে সন্ত্রাসীদের লালন করে।’

ইমরান খান ভারতে ক্ষমতাসীন মোদি সরকারকে ‘ফ্যাসিস্ট’ বলে আখ্যায়িত করে বলেন, ‘ইসলাম ভীতির সবচেয়ে খারাপ ও সবচেয়ে বিস্তৃত রূপ এখন ভারত শাসন করছে। ফ্যাসিস্ট আরএসএস-বিজেপি শাসনে বিদ্বেষপূর্ণ হিন্দুত্ববাদী আদর্শ প্রচার করা হচ্ছে, ভারতের ২০ কোটি মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর ভয় ও সহিংসতার রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে।’

ইমরানের বক্তব্যের জবাবে ‘রাইট টু রিপ্লাই’তে পাক প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের কড়া জবাব দেন স্নেহা দুবে। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান যে জঙ্গিদের আশ্রয় দেয় এটা সবাই জানে। জঙ্গিদের সঙ্গে সম্পর্কের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে তাদের। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত সবচেয়ে বেশি সংখ্যক জঙ্গি সংগঠনকে অতিথি হিসাবে দেশে রাখার রেকর্ড রয়েছে পাকিস্তানের। কয়েক দিন আগে নাইন ইলেভেনের হামলার ২০তম বছর ছিল। বিশ্ব ভোলেনি এই হামলার প্রধান ওসামা বিন লাদেন পাকিস্তানে আশ্রয় পেয়েছিল। এমনকি এখনো সেই দেশে লাদেনকে শহিদ হিসাবে গৌরবান্বিত করা হয়।’

স্নেহা দুবে বলেন, জম্মু-কাশ্মির এবং লাদাখের অঞ্চলগুলো ভারতের অবিচ্ছেদ্য এবং অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। দুবে পাকিস্তানকে উদ্দেশ করে বলেন, গোটা বিশ্ব তার নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারণ দেশটি তার বাড়ির উঠোনে সন্ত্রাসীদের লালন-পালন করছে। বহুত্ববাদ এমন একটি ধারণা যা পাকিস্তানের জন্য বোঝা খুবই কঠিন।

মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফেরাতে মোদি-বাইডেনের বিবৃতি : মিয়ানমারের অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দেশটিতে দ্রুত গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা, রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি এবং সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত। শুক্রবার হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে আসিয়ানের পাঁচ দফা বাস্তবায়নেরও তাগিদ দেয় এই দুই দেশ। বিবৃতিতে মিয়ানমারে যেকোনো মূল্যে সহিংসতা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন মোদি ও বাইডেন। চলতি বছরের ১ ফেব্র“য়ারি ভোরে মিয়ানমারের সু চি সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখলে নেয় জান্তা সরকার।

জাতিসংঘ অধিবেশনে ভাষণের সুযোগ পাচ্ছে না তালেবান : আফগানিস্তানের তালেবান নেতৃত্বাধীন সরকারের মনোনীত প্রতিনিধি জাতিসংঘের চলমান সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। তবে উৎখাত হওয়ার সরকারের মনোনীত আফগান দূত সোমবার ভাষণ দেবেন। শুক্রবার জাতিসংঘের এক মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন। জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফানি দুজারিক বলেন, আপাতত আফগানিস্তানের প্রতিনিধি হিসাবে গুলাম এম ইসাকজাইয়ের নাম তালিকাভুক্ত রয়েছে। তালেবান দ্বারা উৎখাত হওয়া আফগান সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে ইসাকজাই জাতিসংঘে নিযুক্ত ছিলেন।