সাত মাস পর প্রথম ফোনালাপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। হোয়াইট হাউস বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘দুই নেতা বিশ্বের সর্ববৃহৎ ও দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতা যেন সংঘাতে রূপ না নেয় সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন।’ খবর ব্রিটিশ সম্প্রচারমাধ্যম বিবিসির।
বিবিসি লিখেছে, জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষিক্ত হওয়ার পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপ করলেন। বাণিজ্য, গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এবং মহামারি করোনাভাইরাসের উৎস নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্ক একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ‘প্রায় দেড় ঘণ্টার দীর্ঘ ফোনালাপে দুই নেতা কোভিড মহামারি ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কৌশলগত বিষয়ে বিস্তৃতি আলোচনা করেছেন। আলোচনায় দুই দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতা নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্বশীল প্রচেষ্টার কথা স্পষ্ট করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।’
দুই নেতার মধ্যে ফোনালাপ নিয়ে বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস আরও জানিয়েছে, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক ও বিশ্বে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের কথা তুলে ধরেছেন জো বাইডেন। প্রতিযোগিতা যেন সংঘাতে না গড়ায় তা নিশ্চিতে দুই দেশের দায়িত্বশীল আচরণের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও দুই নেতা আলোচনা করেন।’
চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, ‘ফোনালাপটি ছিল খোলামেলা ও গভীর। আলোচনায় দুই নেতা কৌশলগত সম্পর্ক ও উভয় দেশের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করে এমন বিষয়ে কথা বলেছেন। শি বলেছেন, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র তাদের সম্পর্ক সঠিকভাবে পরিচালনা গোটা বিশ্বের ভবিষ্যত এবং নিয়তির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
বাইডেনের উত্তরসূরি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রায় শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনে আলোচনা করতেন। ক্ষমতায় আসার ছয় মাসের মধ্যে শির সঙ্গে দুইবার কথা হয়েছিল তার। ট্রাম্প চীনা প্রেসিডেন্টকে তার ব্যক্তিগত ক্লাব মার-আ-লাগোতেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। যেখানে দুই নেতার মধ্যে মুখোমুখি কথা হয়েছিল।
জানুয়ারিতে শপথ নেওয়ার পর গত ফেব্রুয়ারিতে শি-বাইডেন ফোনালাপের পর দুই দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মধ্যে কালেভদ্রে বৈঠক হলেও সেগুলোতে মানবাধিকার, কোভিড-১৯ এর উৎস নিয়ে স্বচ্ছতাসহ নানান বিষয়ে থাকা মতপার্থক্য দূর হয়নি। এমনকি মুখোমুখি বৈঠকে বাগবিতণ্ডায় একবার বৈঠক ভেস্তে যায়।