আফগানিস্তানের ব্যাংকগুলো এক সপ্তাহের বেশি বন্ধ থাকার পর পুনরায় চালু হচ্ছে। শত শত মানুষ তাদের হাতে আবার নগদ অর্থ পেতে ব্যাংকগুলোর সামনে ভিড় জমিয়েছে। তালেবান কাবুল দখলের পর সেখানের সব ব্যাংক ১৫ আগস্ট থেকে বন্ধ রয়েছে।
প্রথম দিকে ব্যাংকগুলো বন্ধ ছিল রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এবং লুটপাটের আশঙ্কায়। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৭ বিলিয়ন ডলারের অর্থ আটকে দেয়। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও বরাদ্দকৃত ৪৬০ মিলিয়ন ডলার বন্ধ করে দেয় যা ব্যাংকগুলো বন্ধ থাকার অন্যতম কারণ। কাবুল দখলের আশঙ্কায় হাজার হাজার মানুষ যখন ব্যাংক থেকে টাকা তোলার জন্য ভিড় করেছিল তখনই যুক্তরাষ্ট্র থেকে এ সিদ্ধান্ত আসে।
৩৫ বছর বয়সী আফগান নিরাপত্তাকর্মী মাসুদ ১০ দিন ধরে কাবুলে ঘুরছে কুন্দুজ প্রদেশে অবস্থানরত তার পরিবারের ভরণপোষণের জন্য কারণ তার টাকা ব্যাংকে আটকা পড়েছে। যদিও ব্যাংকগুলো খুলছে তারপরও তার হাতে টাকা পেতে কয়েকদিন লেগে যেতে পারে। তার মতো অনেক আফগান নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরাই ব্যাংক থেকে টাকা তোলার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছে।
ব্যাংকের সামনে ভিড় করা মানুষ আল-জাজিরাকে জানিয়েছে, তাদের অধিকাংশই আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধুদের থেকে ঋণ নিয়ে চাহিদা মিটাচ্ছে যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। বিশেষ করে যারা বেসরকারি চাকরি করতো তাদের দুর্ভোগ বেড়েছে বেশি। তালেবান কাবুল দখলের পর অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানই কর্মী ছাটাই করেছে।
এদিকে তালেবান ধীর গতিতে সরকারি অফিসগুলো পুনরায় চালু করছে যেহেতু তারা এখনো প্রশাসনিক কাঠামো ঘোষণা করেনি। গত সপ্তাহে তালেবান বলেছিল অর্থ মন্ত্রণালয় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অর্থমন্ত্রণালয়ের এক কর্মচারী আল-জাজিরাকে জানান, তালেবান ক্ষমতা দখলের পর আমি অফিসে যাচ্ছি না। তারা আমাকে আর নিবে কি-না সেটাও জানিনা। সোমাবার তালেবান মোহাম্মাদ ইদ্রিসকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।