আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় শহর জালালাবাদে দেশটির পুরোনো পতাকা সরিয়ে সবখানে তালেবানের পতাকা উত্তোলনের বিরোধিতায় বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয়রা। এসময় বিক্ষোভে গুলি চালানোর খবর পাওয়া গেছে। এতে অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ডজনখানেক মানুষ। বুধবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটির কাবুল প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জালালাবাদের বাসিন্দাদের ‘মোটামুটি উল্লেখযোগ্য একটি অংশ’ আফগানিস্তানের জাতীয় পতাকার জায়গায় তালেবানের পতাকা উত্তোলনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন। তিনি বলেন, আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছি, রাস্তায় শত শত অথবা কয়েক হাজার মানুষ জাতীয় পতাকা নেড়ে বিক্ষোভ করছেন। আমরা জানি, তারা জালালাবাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ চত্বরে আবার পতাকা তুলে দিয়েছে ও তালেবানের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের খবর অনুসারে, বিক্ষোভ-সহিংসতার খবর প্রচারের চেষ্টা করায় বাবরাক আমিরজাদা নামে স্থানীয় এক সাংবাদিককে পিটিয়েছে তালেবান সদস্যরা।
গত রোববার একপ্রকার বিনাযুদ্ধেই নানগারহার প্রদেশের জালালাবাদ শহর দখল করে তালেবান। এর মধ্যে দিয়ে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোরও নিয়ন্ত্রণ নেয় সশস্ত্র বিদ্রোহীরা।
তালেবান তাদের ‘ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তান’-এর জন্য এখন পর্যন্ত যে পতাকাটি ব্যবহার করছে তাতে সাদার ওপর কালো হরফে কালেমা শাহাদাত লেখা রয়েছে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা কালো, লাল ও সবুজের মিশ্রণে পুরোনো তিনরঙা পতাকাকেই আফগানিস্তানের জাতীয় পতাকা হিসেবে রাখার দাবি তুলেছেন।
তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে দেশটির জাতীয় পতাকা কোনটি হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নতুন সরকার।