স্মরণকালের ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে গ্রিস। নিয়ন্ত্রণহীন এ দাবানলে মৃত্যু হয়েছে এক দমকলকর্মীসহ দুইজনের। আগুনে দগ্ধ হয়েছেন অন্তত ২০ জন। দেশটির ছয়টি অঞ্চলে জারি করা হয়েছে সতর্কতা।
গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের উপকণ্ঠ ও ঐতিহাসিক অলিম্পিয়া শহরের কাছাকাছি দাবানল পৌঁছে গেছে। ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে পুরো অঞ্চল। সেখান থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এভিয়া দ্বীপেও আগুন জ্বলছে। দ্বীপের বাসিন্দা, মাছধরার নৌকা ও পর্যটকদের ফেরিতে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
দাবানলে মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে এক দমকলকর্মী ছাড়াও এথেন্সের চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি কনস্তানতিনোস মাইকেলোস রয়েছেন। প্রথমে তাকে দাবানলের কাছে একটি কারখানায় অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তার মৃত্যু হয়। অন্যদিকে ৩৮ বছর বয়সী ওই দমকলকর্মীর ওপর একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়লে তিনি মারা যান। আগুনে আরও ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রিসজুড়ে ১৫৪টি দাবানল নিয়ন্ত্রণে মাঠে নেমেছেন শতাধিক দমকলকর্মী। স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে নিয়ে দাবানল নিয়ন্ত্রণে রাতদিন কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন গ্রিসের নাগরিক নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী নিকোস হার্দালিয়াস। প্রায় ২০টি উড়োজাহাজ থেকে ছিটানো হচ্ছে পানি। ইতোমধ্যে ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ দাবানল নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। দেশগুলো থেকে পাঠানো হচ্ছে আরও দমকলকর্মী ও উড়োজাহাজ।
এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলা তীব্র তাপদাহের কারণে গ্রিসে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শুধু গ্রিস নয়, ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চল প্রচণ্ড গরমে বিপর্যস্ত। দাবানলে পুড়ছে প্রতিবেশী দেশ তুরস্কও। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আটজনের মৃত্যু হয়েছে। তুরস্কের দক্ষিণ উপকূল থেকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে হাজার হাজার মানুষকে।