ভারতের বিপক্ষে শুধু জিততেই যে সাকিবের কামব্যাক, শেষ পর্যন্ত সেটাই প্রমাণ হলো। ব্যাটিং বিপর্যয়, তা সামলে নেওয়া এবং বল হাতে শেষ ওভার পর্যন্ত লড়াই করে রোহিতদের ৬ রানে হারিয়েছে টাইগাররা। রাঙিয়েছে এশিয়া কাপের শেষটা। প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শুক্রবার টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ।
একাদশে পাঁচ পরিবর্তন এনেও টপ অর্ডারের ধস থামানো যায়নি। দলের ৫৯ রানের মধ্যে লিটন দাস (০), মিরাজসহ (১৩) একাদশে ফেরা তানজিদ তামিম (১৩) ও এনামুল হক (৪) ফিরে যান। ওই বিপর্যয় সামাল দেন সাকিব ও তাওহীদ হৃদয়। তারা ১০১ রানের জুটি গড়েন। দারুণ ব্যাটিং করতে থাকা সাকিব আল হাসান ৮৫ বলে ৮০ রান করে আউট হন।
ছয়টি চার ও তিনটি ছক্কার শট তোলেন এই ব্যাটার। তাওহীদ হৃদয় খেলেন ৮১ বলে ৫৪ রানের দরকারি ইনিংস। তার ব্যাট থেকে পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কা আসে। শেষটায় নাসুম ৪৫ বলে ছয় চার ও এক ছক্কায় ৪৪ এবং শেখ মাহেদী ২৯ ও তানজিম সাকিব ১৪ রান করেন। বাংলাদেশ ৮ উইকেটে তোলে ২৬৫ রান। আগেই আসরের ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলা ভারত জবাব দিতে নেমে এক প্রান্ত দিয়ে নিয়মিত উইকেট হারালেও অন্য প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন শুভমন গিল। তিনি খেলেন ১৩৩ বলে ১২১ রানের অসাধারণ ইনিংস।
আটটি চার ও পাঁচটি ছক্কা তোলেন এই ওপেনার। তার ইনিংসেই জয় দেখছিল ভারত। কিন্তু তাকে শেখ মাহেদী তুলে নিয়ে দলকে ম্যাচে ফেরান। এর আগে ওপেনার রোহিত প্রথম ওভারেই শূন্য করে ফেরেন। তিনে নামা তিলক ভার্মাকেও তুলে নেন অভিষেক হওয়া তরুণ পেসার তানজিম সাকিব। এমনকি মিডল অর্ডারের কেএল রাহুল (১৯), ইশান কিষাণ (৫), সূর্যকুমার (২৬) ও রবিন্দ্র জাদেজা (৭) ব্যর্থ হন। লোয়ার অর্ডারে অক্ষর প্যাটেল ৩৪ বলে ৪২ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলে ম্যাচ বের করে নিচ্ছেলেন।
৪৯তম ওভারে শার্দুল ঠাকুর ও অক্ষরকে ফিরিয়ে দলকে জয়ের পথে তুলে নেন মুস্তাফিজুর রহমান। শেষ ওভারে মোহাম্মদ শামিকে রান আউট করে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে মুস্তাফিজ-তানজিম ছাড়াও কার্যকরী দুই উইকেট নিয়েছেন শেখ মাহেদী। আসর থেকে আগেই বিদায় নিলেও দল হয়ে দৃঢ়তার এক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।