<< কানাডাকে হারিয়ে স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ যুব দল

নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কাছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হার দেখে টাইগার যুবারা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারা। কানাডার বিপক্ষে ৮ উইকেট আর ১১৯ বল হাতে রেখে পাওয়া জয়ে টুর্নামেন্টের সুপার লিগে খেলার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে রাকিবুল হাসানের দল।

টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে কানাডা অনূর্ধ্ব-১৯ দল। বাংলাদেশি বোলারদের বোলিং তোপে সুবিধা করতে পারেনি তারা। ৪৫ ওভার ব্যাট করে গুটিয়ে যায় ১৩৬ রানে। বাংলাদেশের পক্ষে রিপন মন্ডল ও মেহেরাব হোসেন অহীন নেন সমান ৪টি করে উইকেট। বাকি দুটি নেন আশিকুর জামান।

১৩৭ রানের লক্ষ্য টপকাতে নেমে ইফতেখার হোসেন ইফতির ফিফটি ও প্রান্তিক নওরোজ নাবিল ৩৩ রানের ইনিংসের সুবাদে ৮ উইকেট এবং ১১৯ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এই জয়ের ফলে পরের রাউন্ডের আশা বেঁচে রইল বাংলাদেশ যুব দলের।

এদিন ব্যাট করতে নেমে কানাডার শুরুটা মন্দ হয়নি। পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে কোনো উইকেট হারায়নি তারা। তবে ১১তম ওভারের প্রথম বলেই রিপন মন্ডলের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন জাশ শাহ। ২৭ বল খেলে ৮ রান করেন এই ওপেনার। অপর প্রান্তে অনুপ চাকমা অবশ্য দেখে শুনে খেলতে থাকেন।

তবে তাকে দর্শকের ভূমিকায় রেখে সতীর্থরা একে একে ফিরতে থাকেন সাজঘরে। ১২৬ রানে অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে অনুপ সাজঘরে ফেরার আগে ১১৭ বলের মোকাবিলায় ৬৩ রান করেন, যেখানে ৭টি চার আসে তার ব্যাট থেকে। পরে বাকিরা সুবিধা করতে না পারলে কানাডা থামে ১৩৬ রানে।

জবাব দিতে নেম টাইগার ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম আউট হন ১২ রান করে। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান ইফতি ও প্রান্তিক। দ্বিতীয় উইকেটে তাদের পার্টনারশিপ থেকে আসে ৭৬ রান। প্রান্তিক ৫২ বল খেলে ৩৩ রানে আউট হলে ভাঙে তাদের এই জুটি।

পরে ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন ইফতি। দলকে আর বিপদে পড়তে না দিয়ে অপরাজিত থাকেন ৬১ রান করে। ইফতির ৭ চারে ৮৭ রানের হার না মানা ইনিংসের সঙ্গে আইচ মোল্লার অপরাজিত ১৫ রানের কল্যাণে ৮ উইকেটের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।