জনপ্রিয় সংগীত পরিচালক বাপ্পি লাহিড়ীর সম্প্রতি অসুস্থতার খবরে মনখারাপ হয়ে যায় সংগীতপ্রেমীদের। শোনা যায় ফুসফুসের অসুখে নিজের কণ্ঠস্বর হারাতে বসেছেন এই কিংবদন্তি। এমনকি দীর্ঘদিন নাকি কথা বন্ধ তার।
সোশ্যাল মিডিয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তার ভক্তরা। এবার সেই অসুস্থতার খবর ভুয়া বলে জানালেন বাপ্পি লাহিড়ী নিজেই। তার নামে এমন মিথ্যে খবর ছড়ানোয় দুঃখ প্রকাশ করেন বাপ্পি লাহিড়ী।
এক লিখিত বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, সংবাদমাধ্যমে নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে মিথ্যা খবর দেখে খুবই খারাপ লাগছে। প্রিয়জন এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের আশীর্বাদে আমি ভালোই আছি।
এদিকে, গত এপ্রিল মাসে শিল্পী বাপ্পি লাহিড়ী করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তারপর থেকেই গোটা বলিউডে রটে যায়, বাপ্পি লাহিড়ী তার কণ্ঠ হারিয়েছেন। গত ৫ মাস ধরে নাকি একেবারেই কথা বলছেন না তিনি!
আশির দশকে বলিউডের গানকে একেবারে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছিলেন বাপ্পি লাহিড়ী। ডিস্কো গান মানেই বাপ্পি লাহিড়ীর সংগীত। মিঠুন চক্রবর্তী আর বাপ্পি লাহিড়ীর জুটি তো বলিউডি গানে ইতিহাস রচনা করেছিল। কয়েক বছর আগে ‘দ্য ডার্টি পিকচার’ ছবির ‘উ লাল লা’ আর ‘গুন্ডে’ ছবির ‘তুনে মারি এন্ট্রিয়া’ গান গেয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন বাপ্পি লাহিড়ী।
বাপ্পি লাহিড়ীর ছেলে বাপ্পা লাহিড়ী বাবা করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরই সুদূর আমেরিকা থেকে মুম্বাই চলে আসেন। এখনও তিনি মুম্বাইতে আছেন।
বাবার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলতে গিয়ে তিনি জানান, ‘বাবা খুবই দুর্বল। ধীরে ধীরে শরীর ঠিক হচ্ছে। তবে ফুসফুসে সংক্রমণ হওয়ায় একেবারে সুস্থ হতে দেরি হচ্ছে। তবে যেটা রটেছে, সেটা মোটেই ঠিক নয়। এই কথা না বলাটা একেবারে চিকিৎসার অংশ। চিকিৎসকই বাবাকে বলেছেন কণ্ঠের বিশ্রাম দিতে। আশা করা যায় দ্রুতই বাবা ঠিক হয়ে যাবেন। সামনে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে একটি গানের রেকর্ডিংও রয়েছে বাবার।’